নিউজ ডেস্ক: তুমুল বিতর্কের পর রিসোর্টকাণ্ডে বিতর্কিত হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের ভাগ্য ঝুলেছে তদন্ত কমিটিতে। রবিবার (১১ এপ্রিল) হাটহাজারী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠকজুড়েই হেফাজতের সিনিয়র নেতারা সরব ছিলেন মামুনুলের সোনারগাঁয়ে নারীসহ অবরুদ্ধ ও বিতর্কিত নানান কর্মকাণ্ড নিয়ে। এ সময় তার বহিষ্কারের জন্য দাবিও জানান। কিন্তু ঢাকা ও চট্টগ্রামের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা মামুনুলের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় থমকে যায় সেই উদ্যোগ। পরে এক প্রকার বাধ্য হয়ে মামুনুলের কর্মকান্ড তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। আগামী ২৯ মের ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এদিকে বৈঠকের পরে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী রিসোর্টকাণ্ডটি মামুনুল হকের ব্যক্তিগত বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘বৈঠকে মামুনুল হক কিংবা কারও বহিষ্কার বিষয়ে আলোচনা হয়নি। রিসোর্টের ঘটনাটি মামুনুল হকের ব্যক্তিগত বিষয়। এ বিষয়ে কোনো কথা বলবে না হেফাজতে ইসলাম। যা বলার মামুনুল হকই বলেছেন।’
বৈঠকে উপস্থিত সংগঠনের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘জরুরি বৈঠকের পুরোটাই জুড়ে ছিল মামুনুল কাণ্ড নিয়ে আলোচনা। মামুনুলের এমন আচরণে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তার বহিষ্কার দাবি করেছেন উপস্থিত অনেক সিনিয়র নেতা। কিন্তু ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার বাধার কারণে ভেস্তে যায় মামুনুলের বহিষ্কার উদ্যোগ।’