ইজতেমা শুরু, নজরদারিতে ১০ দেশের নাগরিক
ঢাকা: গাজিপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আজ থেকে শুরু হয়েছে তাবলিগ জামায়াতের সবচেয়ে বড় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা। ফজরের নামাজের পর থেকে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্ব। বরাবরের মতো এবারও ইজতেমাকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, এবারের বিশ্ব ইজতেমায় পাকিস্তানসহ অনন্ত ১০ দেশের নাগরিকের উপর একটু আলাদা নজর রয়েছে তাদের। দেশে মূলত জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় এ নজরদারী বলে সূূত্রটি জানিয়েছে।
পুলিশ ও র্যাবের কর্মকর্তারা জানান, এবার পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হচ্ছে তুরাগের ইজতেমা ময়দানকে। পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রায় ১৫ হাজার সদস্য এই নিরাপত্তা দিচ্ছে।
টঙ্গীর তুরাগ তীরে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আজ শুরু হয়েছে। ইজতেমা ময়দানে এখন হাজার হাজার দেশি-বিদেশি মুসল্লি। বিদেশি মুসল্লিদের মধ্যে বেশিরভাগই ভারত ও মধ্য প্রাচ্যের।
সূত্র জানায়, এবারের ইজতেমায় ১০ থেকে ১২ হাজার মুসল্লি যোগ দেয়ার জন্য বিভিন্ন দেশে ভিসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, মধ্য প্রাচ্যর মুসল্লিই বেশি। পাকিস্তানের মুসল্লিদের আসতে হলে পাকিস্তানে থাকা বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে ভিসা নিয়ে আসতে হবে। বিমানবন্দরে তাদের অন অ্যারাইভাল ভিসা দেয়া হবে না। শুধু পাকিস্তানই নয়, আফগানিস্তান, সিরিয়া, নাইজেরিয়া, আলজেরিয়া, মরক্কো, সুদানসহ ১০টি মুসলিম দেশ এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এসব দেশে জঙ্গি তৎপরতা থাকায় অন অ্যারাইভাল ভিসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের ইজতেমা শেষ হবে। এরপর ১৫ জানুয়ারি দ্বিতীয়পর্ব শুরু হবে। ১৭ জানুয়ারি দ্বিতীয়পর্বের আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে দুইপর্বের বিশ্ব ইজতেমা।
৮ জানুয়ারি ২০১৬/এমটি নিউজ২৪ডটকম/জুবায়ের/রাসেল
�