নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এখনও আঘাত হানেনি। তবে ইতোমধ্যে সুন্দরবনে এর প্রভাব টের পাওয়া যাচ্ছে। মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল থেকেই সুন্দরবনের দুবলার চর, হিরণ পয়েন্ট, পক্ষীর চরসহ বিভিন্ন স্থানে আছরে পড়তে থাকে সাগরের বড় বড় ঢেউ।
ঢেউয়ের আঘাতে বিপর্যস্ত হতে শুরু থাকে সুন্দরবন। বনের বিভিন্ন স্থানে থাকা বন বিভাগের অফিসগুলোর নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। দুলবার চরসহ আশপাশের মিষ্টি পানির পুকুরগুলো লোনা পানিতে তলিয়ে গেছে। হরিণসহ কিছু বন্যপ্রাণী দুবলার চরের উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
সুন্দরবনের দুবলা জেলে পল্লীর প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও) তানভীর হাসান ইমরান জানান, পূর্ণিমার জোয়ার আর পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দুই মিলে আরও শক্তিশালী হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। দুবলা ফরেস্ট অফিসের অফিস, স্টাফ ব্যারাক, মসজিদ, রান্নাঘর আগেই পানিতে ডুবেছে।
তানভীর হাসান আরও জানান, একমাত্র মিষ্টি পানির উৎস পুকুরও লবণ পানিতে ডুবে গেছে। হরিণের কিছু ছোট বাচ্চা আশ্রয় নিয়েছে পুকুর পাড়ে। বাকিগুলোর কী অবস্থা জানা নেই। এতটা সার্ভাইভাল অবস্থায় টিকে থাকাটাই জরুরি। দুর্যোগের সময় শুধু মানুষ নয়, বন্যপ্রাণীও অসহায়।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাব মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে খুলনা অঞ্চলে শুরু হয়েছে। ইয়াসের শক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খুলনার উপকূলের নদীর নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। মঙ্গলবার সকালে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি ও থেমে বৃষ্টির ফলে জনজীবন বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। নদ-নদীর পানির উচ্চতা দুই থেকে আড়াই ফুট বৃদ্ধি পায়।