পরীয়ার কারণে কী লোমহর্ষক ঘটনা ঘটতে পারে তা এই নিউজটি না পড়লে বুঝা যাবে না। পরকীয়া প্রেমিকের ফোন, তারপর করুণ পরিণতি! পরকীয়া প্রেমিককে বিয়ে করে নতুন সংসার গড়তে নিজ সন্তানকে হ'ত্যা করেন মা। এরপর মা জান্নাতা আক্তার শিশুটির অপমৃত্যু বলে প্রচার করেন। গতকাল সোমবার ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নিজ সন্তান আরাফের হত্যার স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন জান্নাতা আক্তার।
গত বুধবার (৩ জুন) সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা দেওগাঁও চেড়াডাঙ্গী গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। জবানবন্দির পর আদালত জান্নাতাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান। ঘটনার বর্ণনায় ওসি জানান, গত বুধবার (৩ জুন) তারিখ দুপুরে আমির হামজা আরাফ (৬) ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে মৃত্যুবরণ করে বলে পুলিশ খবর পায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারের পর ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। সেই সঙ্গে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ নিহতের বাবা খলিলুর রহমানকে সন্তানের মৃত্যুর বিষয়ে তার মা জান্নাতা আক্তারের কাছে বিভিন্নভাবে জানতে পরামর্শ দেন। এ সময় জান্নাতার কথা খলিলুরের সন্দেহ হয়। তিনি বিষয়টি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জানান।
পরে জান্নাতা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় হাজির করা হয়। তদন্তটিম মৃতের মা জান্নাতা আক্তারকে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জান্নাতা তার ছেলে শিশু আরাফের হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে জান্নাতা জানান, স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় থাকার সময় পাশের ফ্লাটের ইমরান নামে এক তরুণের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তাদের মধ্যে একাধিকার শারিরীক সম্পর্ক হয়। দুই মাস আগে খলিলুর সন্তানসহ তাকে ঠাকুরগাঁওয়ের দেওগাঁও চেড়াডাঙ্গী গ্রামের শশুরবাড়িতে রেখে যায়। অন্যদিকে, ইমরান মোবাইলে বিভিন্নভাবে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়গুলো নিয়ে তিনি মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন। এ কারণেই গত বুধবার (৩ জুন) সকালে আরাফকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।