শনিবার, ০৯ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৪:১৫:২৭

কয়েন নিয়ে বিপাকে দেশের মানুষ

কয়েন নিয়ে বিপাকে দেশের মানুষ

নিউড ডেস্ক : কয়েন বা ধাতব মুদ্রা লেনদেন করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বাংলাদেশের মানুষ, আর এর বিরুদ্ধে গতকাল নরসিংদীর একদল ব্যবসায়ী স্থানীয় এক বাজারে টেবিল পেতে বসে অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, ব্যাংকগুলো কয়েন নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, অথচ ব্যবসায়িক লেনদেনের ফলে তাদের হাতে জমছে বিপুল পরিমাণ কয়েন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে সঙ্কট নিরসনে সব ব্যাংককে কয়েন লেনদেন নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজধানী ঢাকার কাছেই নরসিংদীর বেকারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সরকার বলছেন, কয়েক মাস ধরেই ব্যাংকগুলো কয়েন গ্রহণ না করায় সেখানকার শতাধিক বেকারি মালিকের কাছে জমে গেছে দু’কোটি টাকারও বেশি মূল্যমানের কয়েন। তিনি জানান, এক টাকা, দু’টাকা ও পাঁচ টাকার এসব জমে থাকা কয়েন ব্যাংক না নেয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত দশটি ক্ষুদ্র বেকারি, এ নিয়ে কয়েকটি সমাবেশও হয়েছে সেখানে। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে তিন চার সপ্তাহ ধরে ঘুরছি। একবার বলে কয়েন গোনার মতো সময় ও লোক নেই।’ প্রায় একই ধরনের অভিযোগ করেন সাতক্ষীরার ব্যবসায়ী এরশাদ আলী। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে কমদামে স্থানীয় বাজারে তিনি কয়েন বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন শুধু ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্যে। একই ধরনের অভিযোগ এসেছে মাগুরা, যশোর, খুলনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ অনেক জায়গা থেকেই। বাংলাদেশে পয়সা ও টাকার আট ধরনের কয়েন থাকলেও এখন তুলনামূলকভাবে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে পাঁচ টাকার কয়েন। কিন্তু বৈধ হওয়া সত্ত্বেও কেন কয়েন গ্রহণে অনীহা দেখাচ্ছে ব্যাংকগুলো ? এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা মো: ইসমাইল শেখ বলেন, এটি আসলে ব্যবস্থাপনার সমস্যা। তিনি বলেন, ‘কাগজের নোট হলে এর ব্যবস্থাপনা সহজ আর কয়েন অনেক বেশি হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে সমস্যা হয়। তবে নিয়মানুযায়ী কেউ কয়েন জমা দিতে আসলে সেটি নিতে হবে।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলছেন, সমস্যাটি জানতে পেরে সব ব্যাংক এবং তাদের প্রতিটি শাখাকে কয়েন লেনদেনের বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সব অফিসকে বলেছি তারা যেন লেনদেন ঠিকমতো করতে পারে।’ তবে শুভঙ্কর সাহা আরো বলেন, তাদের ধারণা গুজব সৃষ্টির কারণেই কয়েন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিলো। বৈধ মুদ্রা বা কয়েন নিয়ে সংশয়ের কোন ভিত্তি নেই কারণ এগুলো সচল আছে এবং থাকবে। ৯ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে