নিউজ ডেস্ক : বেলা ১১টায় আখেরি মোনাজাতে আল্লাহর দরবারে দুই হাত উত্তোলন করেছেন তাবলিগের অন্যতম প্রবীণ ও শীর্ষ মুরুব্বি ভারতের মাওলানা সাদ। তাঁর সঙ্গে হাত তুলেছেন কয়েক লাখ মুসল্লি। আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ধ্বনি আর রহমত, ক্ষমা ও নাজাতের জন্য কান্নায় এখন তুরাগপাড় প্রকম্পিত।
এদিকে আখেরি মোনাজাত অংশ নিতে রোবার সকাল থেকেই তীব্র শীত ও কুয়াশা উপক্ষো করে টঙ্গীপানে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। বাস, ট্রাক, ট্রেন- যে যেভাবে পারছেন, ইজতেমায় এসেছেন এবং মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন।
ইতোমধ্যে ইজতেমার মাঠ ছাপিয়ে মানুষেরা টঙ্গী-মহাখালী মহাসড়ক ও এর আশপাশে অবস্থান নিয়েছে। আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে এখন তুরাগপাড় প্রকম্পিত।
গত শুক্রবার ফজরের পর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমা। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে তিন দিনের এই আয়োজন।
তিনি ভারতের বাসিন্দা। মাওলানা সাদ ইজতেমার সময় বেশ কয়েকবার আম বয়ান করে থাকেন। আখেরি মোনাজাতের আগে মুসল্লিদের বিশেষ করে যারা বিভিন্ন মেয়াদে জামায়াতে যাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে হেদায়েতি বয়ান অনেকটা তার জন্যই নির্ধারিত।
মাওলানা সাদের দাদা মাওলানা ইউসুফ আলীও তাবলিগের কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মাওলানা সাদ তাবলিগের সাথীদের কাছে অতিপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তার বক্তব্য সব মহলে সমাদৃত।
মাওলানা সাদ ২০১৫ সালের বিশ্ব ইজতেমায় সর্বপ্রথম আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন।
এর আগে ইজেতেমার আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করতেন দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদের খতিব ও তাবলিগ জামাতের অন্যতম শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা জোবায়েরুল হাসান। তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করে আসছিলেন। তার মৃত্যুর পর গতবার থেকে মাওলানা সাদ বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করে আসছেন।
১০ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএম/ডিআরএ