সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন বি'তর্কি'ত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌ। তাদের গ্রেপ্তারের পর আ'ত'ঙ্কে ফাঁকা রাজধানীর অভিজাত গুলশান, বনানী এলাকার 'স্পা' সেন্টার। বন্ধ হয়েছে এসব এলাকার 'স্পা' সেন্টার, সি'সা লাউঞ্জ' ও বিউটি পা'র্লার। গা-ঢাকা দিয়েছে পার্টি হাউস ও অসা'মা'জিক কাজে জড়িতরা।
আইনশৃঙ্খলা বাহি'নী ও গোয়ে'ন্দা সংস্থার বিশেষ নজ'রদারি রয়েছে অভিজাত এলাকায়। এসব এলাকার তারকা হোটেলগুলোতেও কমেছে প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তাদের সঙ্গী হওয়া সুন্দরী তরুণীদের আনাগোনা। 'স্পা' সেন্টার ও বিউটি পার্লারের আড়ালে অবৈ'ধ কাজে জড়িত ১৭টি প্রতিষ্ঠান ও ১৩টি সি'সা লা'উ'ঞ্জের তালিকা এখন গোয়ে'ন্দাদের হাতে।
গুলশান থেকে গ্রেপ্তার মডেল পিয়াসা ও মোহাম্মদপুর থেকে মৌ। এরপর বনানী থেকে অভিনেত্রী পরীমণি। গ্রেপ্তার হন তাদের কয়েক ঘনি'ষ্ঠ সহযোগীও। এরপর থেকেই আ'ত'ঙ্ক ছ'ড়িয়ে পড়ে ত'থাক'থিত মডেল ও রুপালি জগতের অনেকের মধ্যেই। যারা এক সময়ে পিয়াসা-মৌ ও পরীমণি চ'ক্রে ঘনি'ষ্ঠ হয়েছেন। আ'ত'ঙ্কে বন্ধ করে দিয়েছেন তাদের পরিচালিত অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
গুলশান এলাকার 'স্পা' সেন্টার ও বিউটি পার্লারের ৩০টি প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে গোয়ে'ন্দা সংস্থার হাতে। যার ১০টিতে অনৈ'তিক কাজ হয়। এসব প্রতিষ্ঠানে অনৈ'তিক কাজে থাই নাগরিকসহ বিদেশিরাও জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গত কয়েক দিন ধ'রে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই তালা ঝু'লছে।
কেবল 'স্পা' সেন্টার ও বিউটি পার্লারই নয়, ভয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে গা-ঢাকা দিয়েছে অনেক পার্টি হা'উস ও সি'সা লা'উ'ঞ্জের নিয়'ন্ত্রকরা। বনানীর ১১ নম্বর সড়ক ঘিরেই ১৩টি সি'সা লা'উ'ঞ্জ গড়ে ওঠেছে। এদের কয়েকটি অবৈধভাবে মা'দ'ক কার'বারেও জড়িত। এসব প্রতিষ্ঠানের পাঁচটির মূল ফ'টকে তালা ঝুলছে। তিনটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় নিয়োজিতরা জানান, মডেলরা গ্রেপ্তারের পর থেকেই লাউ'ঞ্জগুলো বন্ধ রয়েছে।
এদিকে পিয়াসাকে গ্রেপ্তারের পর অ'নৈ'তিক কাজের মাধ্যমে ‘ব্ল্যা'কমে'ই'লিং’ এ জড়িতদের অনেক ‘সে'ফ প্লে'স’ এখন ফাঁকা। এসব ‘সে'ফ প্লে'স’ এ ধনীর দুলালদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ' হতো চ'ক্রের তরুণীরা। অনেক নামি-দামি ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রভাবশালীদের যাতায়েত ছিলো সেখানে । এই সুযোগে গো'পন ক্যা'মেরায় ভিডিও ধারণ করে চ'ক্রটি ভু'ক্তভো'গীদের কাছ থেকে হা'তিয়ে নিত মোটা অংকের অর্থ।
গুলশান-বনানী এলাকায় পূর্বের ন্যায় এখন সেখানে আর নামি-দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি এবং পুরনো আড্ডাও নেই। ইতোমধ্যে যাদের নাম আইনশৃঙ্খলা বাহি'নীর জিজ্ঞাসাবাদ ও গণমাধ্যমে এসেছে তাদের অনেকেই গা-ঢাকা দিয়েছেন। পিয়াসা চ'ক্র গ্রেপ্তারের পর আলোচনার বাইরে থাকতেই অ'প'ক'র্মের গ'ড'ফা'দাররা জনসমাগম এ'ড়িয়ে চলছেন। অনেকে আবার রাজস্ব ফাঁ'কি দিয়ে কেনা অবৈধ গাড়ি আটকের ভ'য়ে বাসা থেকে সেভাবে বের হচ্ছেন না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, 'স্পা' সেন্টার পা'র্লার, বিউটি পা'র্লার, সি'সা লা'উ'ঞ্জ বা পার্টি হাউস যেই নামই আসুক না কেন, কোনো অনৈ'তিক বা অ'প'রা'ধমূলক কাজের খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনা'নুগ ব্যবস্থা নেব।-আরটিভি