সোমবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৬, ০১:৩৩:২৪

শিক্ষকরা বললেন সব দায় অর্থমন্ত্রীর

শিক্ষকরা বললেন সব দায় অর্থমন্ত্রীর

ঢাকা : শিক্ষার্থীরা যদি সেশনজটে পড়ে, তা হলে এর দায়ভার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাবির কলাভবনের সামনে বটতলায় আয়োজিত এক সভায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কথা  বিবেচনা করে আমরা দীর্ঘ নয় মাস বেতন-বৈষম্য আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু অর্থমন্ত্রী আমাদের ডাকে সাড়া দেননি।’

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী একবার আমাদের পক্ষে কথা বলেন আবার ভুলে যান। একবার সমাধানের আশা দেন, পরক্ষণে তা অস্বীকার করেন। আর এর জন্য যদি শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়ে তার দায়ভার তার।’

তিনি বলেন, শিক্ষকদের পক্ষ থেকে যে দাবি জানানো হয়েছিল তার বাস্তবায়ন না হওয়ায় লাগাতার কর্মবিরতিতে যেতে শিক্ষকেরা বাধ্য হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন কোনো সেশনজট নেই। তবে আন্দোলন দীর্ঘদিন চললে শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়তে পারে। আর এজন্য সরকার দায়ি থাকবে।

২ জানুয়ারি কর্মবিরতি ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়নি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

মাকসুদ কামাল বলেন, সিনিয়র মন্ত্রীরা পর্যন্ত শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করেছেন। কিন্তু এটা যাদের বাস্তবায়নের কথা তারা তা বাস্তবায়ন করেনি। অর্থাৎ শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে, এমন কেউ নিশ্চয় আছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গত আট মাস ধরেই আমরা কথা বলার চেষ্টা করে আসছি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দশ মিনিট কথা বলতে পারলেই সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু একটি অসৎ মহল চেষ্টা করছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়টি নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতে।

মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে শিক্ষকরা কখনো আপোস করবে না উল্লেখ করে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান তিনি।

এদিকে সোমবার কর্মবিরতির প্রথম দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সবগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষকদের রুমগুলোতে ঝুলছে তালা। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কম।

স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে শুরু হওয়া শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে বাংলাদেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক’টি অচল হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে না। শিক্ষকরা প্রশাসনিক দায়িত্বও পালন করছেন না।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে আজ সকাল থেকে পূর্বঘোষিত এই লাগাতার কর্মসূচি শুরু হয়।
১১ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে