নিউজ ডেস্ক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে আমাদের নতুন করে চিন্তা করতে হবে। প্রয়োজনে প্রযুক্তিনির্ভর রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতে হবে। সঠিকভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
গত সন্ধ্যায় রাজধানীর ভাসানী মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘ওয়ান-ইলেভেন’-এর আট বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘কলঙ্কিত ১/১১, সংবিধান ও গণতন্ত্রের দুঃসময়’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে ছাত্রদল। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলটের সভাপতিত্বে যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের শিরিন সুলতানা, বিএনপির তাইফুল ইসলাম টিপু, ছাত্রদলের ইশতিয়াক আহমেদ নাসির, নাজমুল হাসান, আবুল হাসান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। বিশ্ব এখন পরিবর্তনশীল। আমাদেরও কৌশল পরিবর্তন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমরা প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে পারি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও দেশের মানুষের কাছে গণতন্ত্রের কথা পৌঁছে দিতে পারি। আমাদের কর্মসূচিতেও পরিবর্তন আনতে হবে। পার্টি অফিসের সামনেও এখন সমাবেশ করতে অনুমতির প্রয়োজন পড়ে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে অনুমতি লাগে। এখন অনুমতি নিয়ে গণতন্ত্র চলছে। গণতান্ত্রিক পবিবেশকে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আমাদের ভোট, স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের বিরোধী শক্তিরা ঐক্যবদ্ধভাবে ১/১১ ঘটিয়েছে। আর আওয়ামী লীগ তাদের বৈধতা দিয়েছে। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারকে গণতান্ত্রিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে। আমাদের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। এটা অস্তিত্ব ও বেঁচে থাকার লড়াই।
১/১১-এর সংবাদ গতকাল কোনো গণমাধ্যমে প্রকাশ না করায় বিস্ময় প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। এদিনটি ছিল সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা ধ্বংস করে দেশকে বিরাজনৈতিকীকরণ করার। রাজনীতির শত্রুদের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের ফল হচ্ছে ওয়ান-ইলেভেনের অবৈধ সরকার। আজ দেশের সব ক্ষেত্রে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন। কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম পাচ্ছেন না। বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে ২৬ ক্যাডারের কর্মকর্তারাও আন্দোলনের দিকে যাচ্ছেন।
১২ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি