ঢাকা : চলতি বছরের মার্চের শেষদিকে প্রায় ৬০০টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ।
তিনি বলেন, এবার চেয়ারম্যান পদে দলীয় এবং কাউন্সিলর পদে নির্দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচন হবে কয়েক ধাপে। যেসব ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ মার্চের মধ্যে শেষ হবে কেবল সেগুলোতেই প্রথম ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, ইউপি নির্বাচনের জন্য আইন পরিবর্তন হওয়ায় দলীয়ভাবে নির্বাচন করার বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালায় সংশোধনী আনা হচ্ছে। পৌরসভার আদলে নির্বাচন করার বিধান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আচরণবিধিমালা আগের মতোই থাকবে। আচরণবিধি পরিবর্তনের ব্যাপারে কিছু ভাবা হয়নি। তবে বিধিমালা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। দু’একদিনের মধ্যে খসড়া বিধিমালা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। এরপর চূড়ান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করা হবে।
দেশে মোট ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি। এ বছরই প্রায় সব ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। চলতি বছরেই সব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায় কমিশন।
২০১১ সালে কয়েক ধাপে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ইউপিতে নির্বাচন করেছিল ইসি। সে সময় ২৯ মার্চ ২১ উপকূলীয় উপজেলার শতাধিক ইউপিতে নির্বাচন হয়েছিল। এবারো ২৯ মার্চের মধ্যেই সেসব উপজেলার ইউনিয়নে নির্বাচন করতে হবে।
আগামী ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৪৭ লাখ নতুন ভোটার।
ইসি সূত্র জানায়, ইসির চাহিদা অনুযায়ী স্থানীয় সরকার বিভাগ নির্বাচন উপযোগী ৪৫৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদের তালিকাসহ সংশ্লিষ্ট তথ্য সরবরাহ করেছে।
১২ জানুয়ারি,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম