ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লাবাহী গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজ শিক্ষার্থী নাঈম হাসানের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে মন্তব্য করে বলেছেন, ‘একটি মেধাবী প্রাণকে মেরে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কে কে জড়িত? কার হুকুমে হয়েছে? কেন এমন ঘটনা হয়েছে? এসব কিছু জানতে ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে আসামির রিমান্ড প্রয়োজন।’ আজ বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টন থানায় সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে মামলার আসামি রাসেলকে আদালতে হাজির করেন। ওই সময়েই রিমান্ড শুনানিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এমন মন্তব্য করেন।
পরে আদালত রাসেলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীর রিমান্ড বাতিল শেষে জামিন আবেদন করেন। এতে রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করেন।
এর আগে আজ দুপুরে ডিএমপির পল্টন মডেল থানার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) আ. আহাদ বলেন, ঘাতক গাড়িটি চালাচ্ছিলেন রাসেল খান। কিন্তু তিনি প্রকৃতপক্ষে ওই গাড়ির চালক নন, তিনি পরিচ্ছন্নকর্মী। আমরা গাড়ির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেছি। গ্রেপ্তার রাসেল জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গাড়িটির মূল চালক হারুন।
ডিসি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে। তা হলো কেউ কেউ লিখছেন- ঘটনার সময় প্রকৃত চালক গাড়ির ভেতরেই ছিলেন এবং তিনি পালিয়ে যান। তবে বিষয়টি সত্য নয়। ওই সময় গাড়িতে প্রকৃত চালক ছিলেন না।