ঢাকা : প্রকৌশলী খালেদা আহসান ১৯৫৭ সালে গাজীপুরে কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁ গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।তিনি কৃতিত্বের সাথে এসএসসি ও এইচএসসি পাসের পর ভর্তি হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।এখান থেকেই ১৯৭৯ সালে পানি সম্পদ প্রকৌশল থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি।
বিসিএস (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল) ক্যাডারের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পূর্ত) প্রকৌশলী পদ থেকে বেগম খালেদা আহসান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্বভার ২০১৪ সালের ৩০ জুন গ্রহণ করেছেন। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করেন এবং একই সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে সহকারী প্রকৌশলী পদে যোগদান করেন।
পরবর্তী সময়ে অধিদফতরের বিভিন্ন উচ্চ ও গুরুত্বপূর্ণ পদে যথা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদে দায়িত্ব পালন করেন। চাকরিকালীন সময়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ ও সরকারি কাজে তিনি শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, চীন, পাকিস্তান, নেপাল, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। তিনি একজন সত্, দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে অধিদফতরে সুপরিচিত।
প্রসঙ্গত, কোনো সরকারি অধিদফতরে তিনিই প্রথম মহিলা প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্বভার পালন করেছেন।
১৯৭৯ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে সহযোগী প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি জীবন শুরুর পর ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করেন।
এরপর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে গাজীপুর ও ঢাকায় সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কম্পিউটার বিভাগের সিস্টেম ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ সরকার ও ইউনিসেফের একটি প্রকল্পে উপ-পরিচালক হন। বরিশাল ও সিলেট বিভাগেও প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
তিনি দীর্ঘদিন প্রত্যাশায় ছিলেন সচিব মর্যাদা পাবেন। কিন্তু সেটা হলো তো অনেক দেরিতে হয়েছে।
জানা গেছে প্রকৌশলী খালেদা আহসান শেষদিনে পেলেন বিরল সম্মান।মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে তাকে গ্রেড-১ তথা সচিব পদমর্যাদা দেয়া হয়।চাকরির নির্ধারিত বয়স শেষে আজ তিনি অবসরে যাবেন।শেষ দিনে হলেও সচিবের মর্যাদা পেয়ে তিনি খুশি।
১৩ জানুয়ারি ২০১৬ এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএম/ডিআরএ