নিউজ ডেস্ক : সদ্য প্রকাশিত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলে অসন্তুষ্টি জানিয়ে পুনরায় খাতা দেখার চ্যালেঞ্জ করেছেন প্রায় ৬৪ হাজার শিক্ষার্থী। এই আবেদনকারীরা মোট ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৮৩টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করেছেন। যা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৪%।
জেএসসি পরীক্ষার মতো অপ্রাসঙ্গিক সমাপনীতে এতো সংখ্যক শিক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জকে ভাবনার বিষয় বলছেন শিক্ষাবিদরা।তারা বলছেন, জেএসসিতে পাসের হার ছিল ৯৪% বেশি। এরপর কেন এত সংখ্যক শিক্ষার্থী খাতা চ্যালেঞ্জ করেছেন তা আসলেই চিন্তার বিষয়। তাদের মতে, খুব দ্রুত বেশি সংখ্যক খাতা দেখায় অথবা সঠিকভাবে মূল্যায়িত না হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা খাতা পুনরায় দেখার চ্যালেঞ্জ করছেন।
গত ৩১শে ডিসেম্বর ফল জেএসসি-জেডিসি ফল প্রকাশ করা হয়। পরদিন থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পুনঃনিরীক্ষার আবেদন নেয়া হয়। আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির তথ্যমতে, সারা দেশে ৬৩ হাজার ৯৮৭ ছাত্রছাত্রী উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করেছে। আর জেএসসি ও জেডিসি মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ৭২ হাজার ২৮৯ জন। অর্থাৎ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৩ দশমিক ৮১% শিক্ষার্থী ফল নিয়ে অসন্তোষ্ট প্রকাশ করেছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসনিমা বেগম বলেন, ২২ লাখ ৭২ হাজার ২৮৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ২০ লাখ ৯৮ হাজার ২২ জন। অর্থাৎ দুটি পরীক্ষায় মোট পাসের হার ৯২.৩৩%। এরপরও প্রায় ৬৪ হাজার শিক্ষার্থীর পুনঃআবেদনের দুটি দিক আছে।
প্রথমটি হচ্ছে- ফলের প্রতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আগ্রহ বেড়েছে। দ্বিতীয়টি কোনো কারণে ফলে তাদের অসন্তোষ্টি। তিনি বলেন, জেএসসি ফল কার্যত কোনো কাজে লাগে না। এই ফল পরবর্তীকালে কোথাও প্রয়োজন হয় না। তারপর টাকা খরচ করে ফল পুনঃনিরীক্ষণ করা মানে হলো সার্বিক শিক্ষা বা ফলের ওপর আগ্রহ বেড়েছে।
ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু বক্কর সিদ্দিক জেএসসিতে এত সংখ্যক শিক্ষার্থী ফল পুনঃমূল্যায়নের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, সবাই এখন ভালো ফল করতে চায়।অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের প্রতি অতি যত্নশীল।৮ বছর পড়াশোনা করানোর কোনো শিক্ষার্থী বা অভিভাবক কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়া তারা পুনরায় আবেদন করেছেন। আর আবেদন করে ফল পরিবর্তন হয় এরকম যথেষ্ট উদাহরণ রয়েছে।
১৪ জানুয়ারি ২০১৬/এমটি নিউজ২৪ডটকম/এসএম/ডিআরএ