এমটি নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে আমি এক মুহূর্তের জন্যও দ্বিধা করি না। শেষ নিশ্বাস থাকা পর্যন্ত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করবো। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে প্রয়োজনে আমার বাবার (বঙ্গবন্ধুর) মতো জীবন উৎসর্গ করতেও আমি প্রস্তুত।
তিনি বলেন, আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন মানুষের কল্যাণে। তাকে জীবনে অনেক বাধা ও আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবে জনগণের উন্নতির জন্য কিছু করার কাজে কোনো বাধাই বাধা হতে পারে না।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় কক্সবাজার সৈকতে আয়োজিত ‘উন্নয়নের নতুন জোয়ার : বদলে যাওয়া কক্সবাজার’- শীর্ষক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের আনুষ্ঠানিক উদযাপনের অংশ হিসেবে কক্সবাজারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় কক্সবাজারবাসীসহ দেশের জনগণের কাছে এ প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আমার সবচেয়ে কাছের ও প্রিয়জন। ১৯৮১ সালে নির্বাসন থেকে দেশে ফেরার পর ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষকে স্বাগত জানাতে দেখেছিলাম। এ দেশের মানুষ আমার সবচেয়ে কাছের এবং তারাই আমার পরিবার। আমি আপনাদের মধ্যে আমার হারিয়ে যাওয়া বাবা, মা ও ভাইয়ের ভালোবাসা ও স্নেহ খুঁজে পেয়েছি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার ফলে দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের মানুষ মাথা উঁচু করে ঘুরে বেড়াবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার ওপর আপনাদের আস্থা ও বিশ্বাস না থাকলে এ সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হতো না। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস হচ্ছে তাদের কল্যাণে কাজ করার জন্য সরকারের চালিকাশক্তি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের দিক থেকে এমন অবস্থানে পৌঁছেছে যে, এ দেশকে কেউ পেছনে ঠেলে দিতে পারবে না।
তিনি বলেন, এখন আমরা একটি উন্নয়নশীল জাতি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি এবং তা বজায় রেখে আমাদের একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশ ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কক্সবাজার থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল নিজ নিজ খাতের সার্বিক উন্নয়নে গৃহীত ব্যবস্থার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন কক্সবাজার প্রান্তে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।