বুধবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২২, ০২:০২:০৫

চমকে দিলেন মফস্বলের এক কলেজের ৬ শিক্ষার্থী মেডিকেলে সুযোগ পেয়ে

চমকে দিলেন মফস্বলের এক কলেজের ৬ শিক্ষার্থী মেডিকেলে সুযোগ পেয়ে

এমটি নিউজ ডেস্ক : আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে এ বছর ৬ শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ অর্জন করে শহরবাসীকে চমকে দিয়েছেন। দীর্ঘ করোনার দুঃসময়কে জয় করে এমন চমৎকার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও।

এই কলেজ ছাড়াও আলমডাঙ্গা উপজেলায় আরও ৬টি কলেজ রয়েছে। সেগুলো থেকে একজন শিক্ষার্থীও মেডিকেলে পড়ার সুযোগ অর্জন করতে পারেনি। ফলে এ কলেজের শিক্ষকরাও শিক্ষার্থীদের সাফল্যে ভীষণ আনন্দিত-উদ্বেলিত। ৫ এপ্রিল মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বের হয়। একই কলেজের ৬ সহপাঠী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় তাদেরকে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে তাদের সহপাঠী বন্ধুদেরও।

দীর্ঘ করোনাকালীন লেখাপড়ার দুরাবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন অভিভাবকরা। অথচ সেই দুর্যোগ অতিক্রম করে বাবা-মায়ের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নকে স্পর্শ করতে পেরেছেন প্রিয় সন্তানেরা। এতে দারুণ খুশি অভিভাবকরা।

তাসনিম জাহান সোহানী ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বন্ডবিল গ্রামের শিক্ষক আহাদ আলীর কন্যা। আহাদ আলী জানান, করোনার জন্য দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ছিলাম। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার রহমতে শেষ হাসি হাসতে পেরেছি। কলেজের অনলাইন ক্লাস বেশ উপকারে এসেছে। এ জন্য প্রিন্সিপালসহ কলেজের সকল শিক্ষকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
        
এ বছর কলেজটি থেকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ফারদ্বীন নাইব। তিনি আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম ছরোয়ার মিঠু ও মুর্শিদা পারভিনের সন্তান। আলমডাঙ্গা মিয়াপাড়ার ব্যবসায়ী আছির উদ্দীন শাহ ও শিক্ষিকা নাজমা আক্তার বানুর সন্তান মিথিলা নাসরিন শানু নীলফামারী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েছেন বন্ডবিল উত্তরপাড়ার শিক্ষক আহাদ আলী ও সাবিনা খাতুনের সন্তান তাসনিম জাহান সোহানী। নুরানী তাজমিরিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি কুমারী গ্রামের শিক্ষক তহুরুজ্জামান ও নাজমা খাতুন দম্পতির সন্তান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েছেন গোবিন্দপুরের ব্যবসায়ী মুনিয়ার হোসেন ও শিউলী খাতুনের সন্তান তাসনিন নূর মিথিলা। আর যশোর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন কালিদাসপুরের হাবিবুর রহমান ও নিলুফা ইয়াস্মিন দম্পতির মেয়ে হোসনে আরা রূপা।
        
গত বছর এই কলেজ থেকে পাস করা কোনো শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাননি। তবে ২০২০ সালে পাস করা এক শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। ২০১৯ সালে কোনো শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাননি। তবে ২০১৫, ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে একজন করে মেডিকেল কলেজে সুযোগ পান।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে