এমটি নিউজ ডেস্ক : ভোটের আগে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার চক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা অনেক পরিকল্পনাবিদ, দূরদর্শী ও সাহসী রাজনৈতিক নেতা, বিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ। তারমতো প্রশ্নাতীত দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ এই বাংলায়ও নেই, উপমহাদেশেও নেই।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের টাকা পাচারকারীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার ছোট ভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর শিষ্য দাবি করে ইনু বলেন, এরা ডাবল চোর। এরা দেশের ভেতরে একবার চুরি করে, বিদেশে টাকা পাঠানোর জন্য আরেকবার চুরি করে। দেশে এই ডাবল চোরদের ধরার জন্য আইন আছে, মামলাও আছে। তাই এই বিদেশে পাচার করা টাকা আনার জন্য বাজেটে যে প্রস্তাব হয়েছে তা দেশের আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ নিয়ে যারা সমালোচনা করেছিলেন তাদের বিষয়ে জাসদ সভাপতি বলেন, তারা দাতাদের শিখিয়ে দেওয়া বুলির বাইরে একটা কথাও বলতে পারেন না। তারা হচ্ছেন দাতাদের তোতাপাখি। শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর কাজ সফলভাবে করার মাধ্যমে প্রমাণ করলেন এসব প্রাজ্ঞ, বিজ্ঞ, বিশেষজ্ঞরা যোগ্যতার উচ্চতায় শেখ হাসিনার ধারেকাছেও যান না।
এসময় হাসানুল হক ইনু ইন্টারনেটের ওপর প্রস্তাবিত ভ্যাট-ট্যাক্স এবং ল্যাপটপ ও প্রিন্টারের ওপর আরোপিত ট্যাক্স প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেন।
ইনু আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি আটকাতে হবে। গরিবদের কেনার ক্ষমতা থাকতে হবে। এজন্য নিত্যপণ্যের ওপর ভর্তুকি দিতে হবে। শ্রমিকদের রেশন কার্ড দিতে হবে। কমমূল্যে খাদ্য বিক্রি করতে হবে। বাজার সিন্ডিকেট ধ্বংস করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের সিন্ডিকেট ধ্বংস করতে হবে।
তিনি বলেন, টাকা পাবেন কোথায়? এনবিআরকে অটোমেশন করেন। ৫৪৪টি উপজেলায় কর অফিস স্থাপন করেন। নয় লাখ হাটবাজার, দোকানিদের করের আওতায় নিয়ে আসেন। এক কোটি টাকার বেশি আয়কর দিতে পারে এ রকম লোক বাংলাদেশে দুই লাখ আছে। ওইটা ধরেন, দুই লাখ কোটি টাকা আপনি পাবেন। সম্পদ কর করেন। অতিরিক্ত মুনাফার বিষয়ে কথা বলেন।
জাসদ সভাপতি বলেন, বাজেটে টাকা পয়সা বাড়িয়ে লাভ নাই। বরং আপনি মৌলিক পরিবর্তন অর্থাৎ বাসস্থান, শিক্ষা, খাদ্য, নিরাপত্তা, ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য সর্বজনীন ব্যবস্থা গড়তে, অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্য বাড়তি বরাদ্দ দেন।