মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৩:১২:২০

`ভয়ংকর পরিস্থিতির শঙ্কা কাটিয়ে গণতান্ত্রিক জাগরণ ঘটাতে হবে'

`ভয়ংকর পরিস্থিতির শঙ্কা কাটিয়ে গণতান্ত্রিক জাগরণ ঘটাতে হবে'

ইব্রাহীম চৌধুরী : বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, নানাবিধ কারণে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ। চারদিকে গুজব-গুঞ্জন, আবারও ১ / ১১ এর মতো শাসন আসছে। এটি কারওরই কাম্য হতে পারে না। এমন ভয়ংকর পরিস্থিতির শঙ্কা কেটে উঠতে গণতান্ত্রিক চেতনার জাগরণ ঘটাতে হবে। সর্বসাধারণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।

নিউইয়র্কে ‘প্রগতিশীল প্রবাসী বাঙালি সমাজ’-এর ব্যানারে দেওয়া সংবর্ধনা সভায় সেলিম এসব কথা বলেন।
নগরের জ্যাকসন হাইটসে গত রোববার এ সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা গিয়াসউদ্দিন বাবুল। স্বাগত বক্তব্য দেন লেখক বেলাল বেগ, গোলাম মর্তুজা, জাকির হোসেন বাচ্চু এবং আলিমউদ্দিন।

সেলিম বলেন, যদি সকলে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অনুসরণ করেন, তাহলে বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভালো থাকতো। কিন্তু সেটি না ঘটে লাখ লাখ টাকা খরচ করে যারা হাজারো মানুষের মিছিল নিয়ে শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছতে পারেন এবং স্লোগান দিতে পারেন অমুক ভাইয়ের চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র, তাঁরাই নমিনেশন পাচ্ছেন। এভাবেই ওয়ার্ড কমিশনার থেকে পৌর মেয়র হয়ে অন্যসব নির্বাচনে নমিনেশনের বাণিজ্য চলছে। এটি এখন সর্বজনবিদিত।

বাংলাদেশের খুন-জখম আর হানাহানি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সিপিবি নেতা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে পরস্পর বিরোধী রাজনৈতিক বিবাদে যত লোক খুন হয়েছে, তার চেয়ে ৬ গুণ বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে নিজ দলের ভেতরে বহুমুখী স্বার্থের কোন্দলে। যুবলীগের নেতারা যুবলীগকে মারছে, ছাত্রলীগের নেতারা ছাত্রলীগকে মারছে, আবার কখনো কখনো যুবলীগ কর্তৃক ছাত্রলীগ এবং ছাত্রলীগ কর্তৃক যুবলীগের নেতা খুনের ঘটনাও ঘটছে। টেন্ডার বাক্স দখলের লড়াইয়েও নিজ দলীয় নেতা-কর্মীরা খুনের শিকার হচ্ছে।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, সন্ত্রাস আগেও হয়েছে। তবে বর্তমানের মতো কখনো দেখিনি। রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ভয়াবহ চিত্র দেখেছি ১৯৭৩ সালে। মহসিন হলের ৯ ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যার ঘটনায়ও ছাত্রলীগের নেতা শফিউল আলম প্রধান দণ্ডিত হয়েছিলেন। এরপর জিয়াউর রহমান তার দণ্ড মওকুফ করে দিয়েছেন। এভাবেই খুনিরা রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হয়েছে এরশাদের আমল হয়ে খালেদা জিয়ার আমল পর্যন্ত।

সেলিম সরকারের দ্বৈতনীতির কঠোর সমালোচনা করে বলেন, নির্বাচনের বাস্তবতা অস্বীকার করতে না পেরে ক্ষমতাসীনরা আন্তর্জাতিক মহল এবং দেশের সহজ-সরল মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে এই বলে যে, উন্নয়নের যে ধারা সূচিত হয়েছে, তা অব্যাহত রাখার জন্যই বর্তমান সরকারকে আরও বহুদিন ক্ষমতায় রাখতে হবে।

সেলিম উল্লেখ করেন, ক্ষমতায় থাকার অভিপ্রায়ে যে খেলা চলছে, তা থেকে আওয়ামী লীগ সুদূরপ্রসারী কোনো লাভ পাবে বলে মনে করি না। জামাত-শিবিরের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড এবং ধর্মের দোহাই দিয়ে অপকর্মের উৎসগুলো সর্বসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। সামাজিক জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে।
সেলিম বলেন, সামাজিক বিপ্লব বা জাগরণ ব্যতীত জামাত-শিবিরকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব হবে না।-প্রথমআলো
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে