শনিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৪:০৪:২১

বিএনপি পুনর্গঠনে পদে পদে বাধা ও মতবিরোধ

বিএনপি পুনর্গঠনে পদে পদে বাধা ও মতবিরোধ

নিউজ ডেস্ক : দল পুনর্গঠনে প্রায় প্রতিটি পদক্ষেপেই বাধার সম্মুখীন হচ্ছে বিএনপি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবেলার মতো অভ্যন্তরীণ সমস্যাও সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে জাতীয় সম্মেলনসহ পুনর্গঠনের কোনো কার্যক্রমই সঠিকভাবে করতে পারছে না দলটি।

তৃণমূল থেকে নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্রে বলতে গেলে সব পদ নিয়েই দ্বন্দ্ব-কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। সঙ্গত কারণে এসব সমস্যা সমাধানসহ চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে আজ রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বিএনপির প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, আজ রাত সাড়ে আটটায় গুলশানে দলটির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপি সূত্রমতে, মূলত কাউন্সিলের বিষয়ে আলোচনা করতে এই বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। সম্মেলনের দিন-তারিখও ঠিক করা হতে পারে এই বৈঠকে। পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে সম্প্রতি আলোচিত ইস্যুতে সরকারকে বেকাদায় ফেলার কৌশল নিয়েও আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি ইউপি নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং বিগত নির্বাচনের কারচুপির বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলের আরো বেশি জানান দিতে করণীয় নিয়েও কথা হবে বৈঠকে।

বিএনপি সূত্রমতে, খুব দ্রুত জাতীয় সম্মেলনে করতে চায় বিএনপি। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযাযী জানুয়ারিতে সম্ভব না হওয়ায় ফেব্রুয়ারিতে কাউন্সিল করার কথা ভাবা হচ্ছে। তাও সম্ভব না হলে মার্চে জাতীয় কাউন্সিল করতেই মূলত স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল ঘিরে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার এবং মহাসচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ পদ নিয়ে প্রভাবশালী জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে 'রেষারেষি' ও 'দলাদলি' শুরু হয়েছে। ফলে কাউন্সিলের আগেই দলে বিভক্তির রেখা আরো তীব্র হচ্ছে। এদিকে কেন্দ্রীয় পদ ছাড়াও জেলা পর্যায়ের কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব ঠিক করা সম্ভব না হওয়ায় কেন্দ্র থকেই কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে কেন্দ্র থেকে দুটি জেলা কমিটি দেয়াও হয়েছে।

বিএনপি সূত্রমতে, গত বছরের ডিসেম্বরে কাউন্সিলের পরিকল্পনা করার পর থেকে মোটেও স্বস্তিতে নেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শেষ পর্যন্ত তার ইচ্ছায় নেতা নির্বাচিত হবে এই বিষয়টি মাথায় রেখে তদবিরের হিড়িক পড়েছে বিএনপি প্রধানের কাছে। নেতারা নিজের এবং অনুসারীদের পক্ষে তদবির অব্যাহত রেখেছেন। যুক্তি দেখাচ্ছেন কেন তিনি বা তার অনুসারী নেতা হওয়ার যোগ্য।

বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানান, ২০১৩ সালে কাউন্সিল করার ইচ্ছা ছিল বিএনপির। কিন্তু ওই সময় সরকারের অযাচিত হস্তক্ষেপের ফলে তা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার নিজেদের কারণেই কাউন্সিল বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। গত বছরের শেষ দিকেও কাউন্সিল করার পরিকল্পনা হয়েছিল। সে লক্ষে আগস্ট মাসে প্রতিটি জেলা নেতাদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে সংগঠনকে পুনর্গঠন করতে বলা হয়েছিল, কিন্তু এখন পর্যন্ত কেন্দ্রের ডাকে তৃণমূল সেভাবে সাড়া দেয়নি।

সিনিয়র এই নেতার মতে, তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যন্ত প্রতিটি পদ নিয়ে বাধার সম্মখীন হতে হচ্ছে। চেয়ারপারসন বাদ দিয়ে মহাসচিব থেকে শুরু করে প্রতিটি পদ নিয়ে আছে লড়াই। কে কেন মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বা যুগ্ম মহাসচিব হওয়ার জন্য যোগ্য তার পক্ষে-বিপক্ষে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

সূত্রমতে, গত বছরের শেষ দিক থেকে শুরু হলেও মহাসচিব পদের জন্য আলোচনায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি বাতাস অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে। এই পদের জন্য আবারো ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নাম আলোচনায় আসছে। হঠাৎ মির্জা আলমগীরের পক্ষে এবং বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন অনেক প্রভাবশালী নেতা।

তার পক্ষে থাকা নেতাদের যুক্তি, একাধিকবার জেল খেটেছেন মির্জা আলমগীর। ক্লিন ইমেজের, মিষ্ঠভাষী এই নেতার দলের জন্য অবদান অনেক। অন্যদিকে বিপক্ষের নেতাদের যুক্তি, আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি পদক্ষেপেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন মির্জা আলমগীর। তাদের মতে, বিগত সময়ে যেসব নেতা বিএনপির মহাসচিব ছিলেন তাদের রাজনৈতিক ওজন মির্জা আলমগীরের চেয়ে অনেক বেশি, আত্মগোপনের ধরনও ছিল মর্যাদাসম্পন্ন।

এজন্য আগের মহাসচিবদের কারণে অকারণে জেলে যেতে হয়নি। বারবার জেল খাটার জন্য তার দায়ও কম না। এছাড়া আন্দোলন করার মতো সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কোনো ভূমিকাই পালন করতে পারেননি মির্জা আলমগীর। আর রাজপথের আন্দোলনের চেয়ে কূটনৈতিক তৎপরতার দিকে মনোযোগী হওয়ার জন্য হাইকমান্ডকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। ফলে সর্বক্ষেত্রে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।

এদিকে দলে ফখরুলবিরোধী একটি সূত্র জানায়, প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার অনুসারীরা ফখরুল মহাসচিব হোক তা চাচ্ছেন না। ১/১১ প্রেক্ষাপটে বিশেষ এক ভূমিকার কারণে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ফখরুল বিরোধী ছিলেন বলে এই গ্রুপটি এতদিন কোনো তৎপরতা ছিল না।

কিন্তু এখন ফখরুলের ব্যাপারে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অবস্থান পরিবর্তন করার কারণ অনুসন্ধান করে তারা জানতে পেরেছেন, গত বছর জেল থেকে মুক্ত হয়ে মির্জা আলমগীর সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১/১১ প্রেক্ষাপটে দলের কয়েকজন বিতর্কিত নেতার সঙ্গে বৈঠক হয়।

এই গ্রুপটিই পরবর্তীতে বিএনপি চেয়ারপারসন লন্ডনে থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে তদবিরের মাধ্যমে ফখরুলের মহাসচিব হওয়ার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন।

সম্প্রতি এসব বিষয় ফখরুল বিরোধীরা জানতে পেরে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছেন। এ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হলেও হতে পারে। এদিকে দলের একটি অংশের নেতারা স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামকে মহাসচিব করার পক্ষে।

তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, ত্যাগ ও অতীত কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে ওই অংশের নেতারা বলছেন, অতীতের মহাসচিবদের দিকে তাকালে তরিকুলই যোগ্য ব্যক্তি। তার বিপক্ষে একমাত্র যুক্তি হচ্ছে, তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ নন। এদিকে কারাগার থেকে বের হওয়ার পর স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে নিয়ে মেরুকরণ হচ্ছে। তরিকুল ইসলাম রাজি না হলে মোশাররফের পক্ষে নামবেন জ্যেষ্ঠ নেতাদের কয়েকজন।

এদিকে মহাসচিব ছাড়াও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদ নিয়ে চলছে নানা হিসাব নিকাশ। এখানেই বাধা বিপত্তির শেষ নেই। এতদিন রুহুল কবরি রিজভী আহমেদ ও আরেক যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিনের নাম শোনা গেলেও এখন এ পদে আরো কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন_ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। দুদুর পক্ষে আছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তবে রিজভী আহমেদের দলের প্রতি 'কমিটমেন্ট' এবং অতীত কার্যক্রম ও ত্যাগের বিষয়টি সারাদেশের নেতাকর্মীদের নজর কেড়েছে। তাকেই এ পদের জন্য সবাই এগিয়ে রাখছেন। দলের তৃণমূলে ব্যাপক জনপ্রিয় এ নেতা। ভেতরে ভেতরে এ পদ নিয়ে চলছে নানা তদবির। এক একজন পৃথক বলয় তৈরির চেষ্টাও করছেন। এদের পক্ষে-বিপক্ষে আছেন কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকে।

জানা গেছে, স্থায়ী কমিটিতে ১৯ পদের মধ্যে তিনটি পদ খালি আছে। অসুস্থ আছেন কয়েকজন। সব মিলিয়ে এ পদে ৭/৮টি নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। এ পদে আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাদেক হোসেন খোকা, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, ড. ওসমান ফারুক ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নাম আসছে বিভিন্ন আলোচনায়। এছাড়া যুগ্ম মহাসচিবদের মধ্যে দুই-একজন স্থায়ী কমিটি আসতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

আলোচনায় থাকা এসব নেতাদের পক্ষে-বিপক্ষ অবস্থান আছে দলের নেতাকর্মীদের। পক্ষে থাকা যুক্তিগুলোর মধ্যে আছে, আন্দোলন, কূটনৈতিক তৎপরতা, সাংগঠনিক কর্মকান্ডে নানাভাবে অবদানের বিষয়। যা নিষ্ক্রিয় নেতাদের চেয়ে ভালো। পাশাপাশি মামলা মোকাদ্দমার বিষয তো আছেই।

অন্যদিকে বিপক্ষে থাকা যুক্তিগুলো হচ্ছে, এসব নেতার অনেকের বিরুদ্ধে আছে ১/১১ প্রেক্ষাপটে বিশ্বাসঘাতকতা করার অভিযোগ, অনেকেই পদে ছিলেন কিন্তু আন্দোলনে কোনো ভূমিকা রাখেননি, অনেকে কূটনৈতিক তৎপরতার নামে মাসের পর মাস বিদেশে অবস্থান করেছেন, কিন্তু কূটনৈতিক তৎপরতার ফলও ছিল বলতে গেলে শূন্য, আবার কয়েকজনের বিরুদ্ধে রয়েছে সরকারের সঙ্গে ভেতরে ভেতের আঁতাত করার অভিযোগও। সব মিলেয়ে নীতি নির্ধারণী ফোরামের পদ পেতে বলতে গেলে সবাইকেই বাধার সম্মখীন হতে হচ্ছে।

এদিকে বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দলের যুগ্ম মহাসচিব হবেন ৭ জন। সাংগঠনিক দিক বিবেচনায় দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ এটি। এই পদ আসতে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে লড়াই শুরু হয়েছে। এই পদের জন্য জয়নুল আবদিন ফারুক, আসাদুল হাবিব দুলু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবির খোকন, আ ন ম এহছানুল হক মিলন, ফজলুল হক মিলন, গোলাম আকবর খন্দকার, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুল লতিফ জনিরা আছেন আলোচনায়।

আর এসব নেতার পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি পাল্টা যুক্তি। পক্ষের যুক্তিগুলো হচ্ছে, একেবারে নিষ্ক্রিয়দের চেয়ে তারা বিগত ৮ বছরে অনেক বেশি সক্রিয় ছিলেন, অনেক মামলা হামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন । সঙ্গত কারণে এসব নেতা এই পদগুলো পাওয়ার যোগ্য, অন্যদিকে বিপক্ষে অনেক যুক্তি দাঁড় করছেন বিরোধীরা।

বিপক্ষের যুক্তিগুলো হচ্ছে, কোনো নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, এমপি থাকাকালীন সময়ে রাজপথের আন্দোলনে দেখা গেলেও পরে দেখা যায়নি। নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগও আছে এক নেতার বিরুদ্ধে। এছাড়া এদের মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক পদের থাকা নেতাদের অনেকে সংগঠনের তেমন কোনো খবর রাখেনি। এছাড়া ছাত্র বা যুব বিয়য়ক সম্পাদক হয়েও সংশ্লিষ্ট সংগঠনকে শক্তিশালী করতে বলতে গেলে ব্যর্থ হয়েছেন।

কেন্দ্রীয় এসব গুরুত্বপূর্ণ পদের বাইরেও জেলা, থানাসহ বিভিন্ন কমিটির পদ নিয়ে বাধা-বিপত্তির শেষ নেতা। তিন দফা তাগাদা দিয়েও জেলা পর্যায়ের কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব ঠিক করা সম্ভব না হওয়ায় কেন্দ্র থকেই কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকে অন্তত ২০টি জেলা কমিটি গঠন প্রায় চূড়ান্ত।

ইতোমধ্যে নিতাই রায় চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে মাগুরা এবং চট্টগ্রাম উত্তরে আসলাম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয়া হয়েছে। আজকালের মধ্যে বেশ কয়েকটি কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। কমিটি গঠন নিয়ে জেলায় জেলায় প্রভাবশালী নেতাদের তীব্র মতবিরোধ শুরু হয়েছে। কোথাও কোথাও পুরনো দ্বন্দ্ব নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে।

পুনর্গঠনে পদে পদে বাধার বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, বিভিন্ন পদ নিয়ে দলের নেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা রয়েছে। এ ধরনের প্রতিযোগিতা অন্যান্য রাজনৈতিক দলে থাকে, বিএনপিতেও আছে। এটা স্বাভাবিক। - যায় যায় দিন
২৩ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে