নিউজ ডেস্ক : ক্রমেই দিনরাতের আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে। হিমেল হয়ে আসছে বাতাস। শীতের তীব্রতা বাড়ছে। শীত পেরিয়ে বসন্তেও ভাইরাসজনিত সর্দিজ্বরের (ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা) প্রকোপ বেশি থাকে। আর এতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় শিশুরা।
কয়েক রকমের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস এ সময় পরিবেশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এ কারণে শিশুদের হঠাৎ জ্বর, কাঁপুনি, গলা খুসখুস, মাথাব্যথা, শুকনো কাশি বা নাক দিয়ে পানি পড়ার মতো সমস্যা হতে পারে। এ রকম অবস্থায় ফ্লু হলে শিশুরা বেশ কাহিল হয়ে পড়ে। পাশাপাশি কখনো ডায়রিয়া বা বমিও হতে পারে তাদের। সাধারণ ভাইরাস জ্বরে বিপদের আশঙ্কা নেই বললেই চলে। তবে শিশুকে খানিকটা আরাম দেওয়া চাই।
ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত শিশু প্রায়ই পানিশূন্যতায় ভোগে। কেননা জ্বরের তাপে শরীর পানি হারায়। তাই শিশুকে প্রচুর পানি ও তরল খাবার দিন। শুধু পানি পান করতে না চাইলে ফলের রস, তরমুজ বা আঙুর, ডাবের পানি, স্যুপ ইত্যাদিও দিন। সেই সঙ্গে শিশুর দরকার প্রচুর বিশ্রাম। বিছানায় বইপত্র বা খেলার উপকরণ দিয়ে শুইয়ে দিন। বেশির ভাগ শিশুর খাওয়ার রুচি যায় নষ্ট হয়ে, কিছুই খেতে চায় না। এমন খাবার দিন, যা অল্প খেলেও বেশ শক্তি পাবে। যেমন দুধ-চিনি দিয়ে তৈরি কোনো নাশতা, মুরগির মাংসের স্যুপ, পাস্তা, ফলমূল ইত্যাদি।
জ্বর বাড়লে গা মুছিয়ে দিন, সঙ্গে সাধারণ প্যারাসিটামল। ওষুধের সঠিক মাত্রাটি জেনে নিন চিকিৎসকের কাছ থেকে। নাক বন্ধ থাকলে স্যালাইন পানির ড্রপ ব্যবহার করা যায়। খুসখুসে কাশিতে মধু বা আদার রস বেশ আরাম দেবে। শিশুরা জ্বর হলে খিটখিটে মেজাজের হয়ে পড়ে।
তাই তাকে সময় দিন, পাশে বসে আদর করুন। ভাইরাল ফ্লু পাঁচ থেকে সাত দিনের মাথায় এমনিতেই কমে যায়। কিন্তু জ্বর দীর্ঘস্থায়ী ও তীব্র মাত্রার হলে, শিশুর শ্বাসকষ্ট হলে বা সে খাওয়া দাওয়া একদম ছেড়ে দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২২ জানুয়ারি ২০১৬/এমটি নিউজ২৪ডটকম/এসএম/ডিআরএ