নিউজ ডেস্ক : গত কয়েক বছর ধরে পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে ব্যর্থতার সমালোচনায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এবার শক্ত হাতে রোধ করার পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় এ ধরনের চেষ্টা কেউ করলে তাদের হাত ভেঙে যাবে।
১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা। এ উপলক্ষে সোমবার সচিবালয়ে এক বৈঠকে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পাশাপাশি প্রশ্ন ফাঁসের গুজবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
নাহিদ বলেন, দেশবাসীর প্রতি এই মেসেজ পৌঁছে দিতে চাই- প্রশ্ন পাবেন, (প্রশ্ন) ফাঁস হবে, নকল করতে পারবেন- এ আশায় বসে থাকবেন না। তাহলে বিপদে পড়বেন, সর্বনাশ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ- মিথ্যার পেছনে ছুটো না, ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আশা করব, আমাদের ছেলেমেয়েরা বিভ্রান্ত হবে না, অভিভাবক-শিক্ষকরা সেভাবে প্রস্তুত করবেন।
এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৬ লাখ ৬৯ হাজার ৩১৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের উদ্দেশ্যে নাহিদ বলেন, যারা ফটোকপি করে বিলি (প্রশ্ন) করেন, দয়া করে এখানে হাত দেবেন না, আমাদের যথেষ্ট শক্তি এবং জনবল গড়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, যিনি হাত দেবেন, হাত পুড়ে বা ভেঙে যাবে। এখান থেকে রেহাই পাবে না। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রশ্নফাঁস, প্রশ্ন ফাঁসের নামে বিভ্রান্তি সৃষ্টি, মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোচিং সেন্টারের ব্যবসা ও মানুষকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রশ্ন ছাপানোর স্থান বিজি প্রেস থেকে ফাঁস হওয়ার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। সেখান থেকে অটোমেটিক সিলগালা হয়ে প্রশ্ন চলে যাবে। সেখানে কারো পক্ষে একটি প্রশ্নও মুখস্ত করা সম্ভব না।
এর আগে ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগও ওঠে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ফেসবুকে প্রশ্ন ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি বন্ধে পরীক্ষার সময় বিটিআরসি তৎপর থাকবে।
২৫ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম