কোকোকে হত্যা করা হয়েছে: দুদু

নিউজ ডেস্ক : সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে কৌশলে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু। জিয়া পরিবারকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় বলে মনে করেন তিনি।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আরাফাত রহমান কোকোর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে দুদু এ দাবি করেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনের সরকার ও শেখ হাসিনা জিয়া পরিবারকে ধ্বংসের জন্য নানা ষড়যন্ত্র করেছেন। এরই অংশ হিসেবে তারা আরাফাত রহমান কোকোকে কৌশলে হত্যা করেছেন। রাজনীতির বাইরে থাকার পরও কোকো রাজনীতির নির্মম শিকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

দুদু বলেন, ‘কোকোকে ওয়ান-ইলেভেনের সময় গ্রেপ্তার করে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। ওই শারীরিক নির্যাতনের ধকল থেকে তিনি আর সেরে উঠতে পারেননি। পরবর্তীতে মালয়েশিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।’

আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় মারা যান।

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘আমরা এখন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে আছি। কোনো কথা না বললেও আমাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দেয়া হচ্ছে। অথচ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কম কথা বলতে প্রধান বিচারপতিকে ধমক দিয়েছেন। কিন্তু তার ‍বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি, সুয়োমুটোও হয়নি। এমন অবস্থার মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হচ্ছে।’

আলোচনা সভা শেষে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেক।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনীর হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ।
২৭ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস