‘খালেদা জিয়া কি ফেরারি?’

নিউজ ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজার গেটে আদালতের সমন না টাঙিয়ে সম্মানজনক ব্যবস্থা করা যেত না বলে মনে করেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার ফিরোজার গেটে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আদালতের সমনের কপি ঝুলিয়ে দেন আদালতের কর্মকর্তারা।  

এ প্রসঙ্গে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়া কি ফেরারি? তার কি কোনো পরিচয় নেই? তিনবারের প্রধানমন্ত্রী তিনি এবং মুক্তিযোদ্ধা।  তার বাড়ির গেটে সমন না টাঙিয়ে কি সম্মানজনক ব্যবস্থা করা যেত না?

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘রায়, সংবিধান, নির্বাচন ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র’-শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

‘অল কমিউনিটি ফোরাম’ নামের একটি সংগঠন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে হেয় করতে একের পর এক মামলা দিয়ে যাচ্ছে সরকার।  এরই অংশ হিসেবে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দেয়া হয়েছে।  অথচ মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে বিএনপি চেয়াপারসনের দেয়া বক্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহিতার লেশমাত্র নেই।  তিনি তো নিজেই একজন মুক্তিযোদ্ধা।  মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণার্থে তিনি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বেগম জিয়া কোনো সংখ্যার কথা বলেননি। তাদের সম্মানহানি হয়, এমন কিছু বলেননি তিনি।  অথচ বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হলো, এটা হাস্যকর।  যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি তাদের হুঙ্কার বেশি শোনা যাচ্ছে।  সরকারকে বলতে চাই, এদিনই শেষ নয়, আরো দিন আছে।

মেজর হাফিজ বলেন, অবসর গ্রহণের পর বিচারকের লেখা রায় বেআইনি ও অসাংবিধানিক’-মর্মে প্রধান বিচারপতির দেয়া বক্তব্য দেশবাসী গ্রহণ করেছেন।  অথচ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ স্থান থেকেও তার সম্মানের খেলাপ করে বক্তব্য দেয়া হচ্ছে।  ক্ষমতাসীনরা সংসদ ও সংসদের বাইরে তাকে নিয়ে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন।  

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের অধিকার হরণের পর এবার শাসক দল বিচার বিভাগের অধিকার হরণ করছে।  দিনের বেলায় রায় দেন আর রাতের বেলায় রায় লেখেন- এমন বিচারপতি আমরা চাই না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সংবিধান নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। সংবিধান নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে পদত্যাগ করুন।  সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে অবিলম্বে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।  আপনারাও বাঁচুন, জনগণকেও বাঁচান।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মো. আশরাফ উদ্দিন বকুল।

 বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাবিরুল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।
২৭ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম