এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : তাকরিমের প্রথম হওয়ার খবর গ্রামে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে খুশির বন্যায় ভাসেন গ্রামবাসী। স্থানীয় লোকজন তাকরিমকে অভিনন্দন জানিয়ে তার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করতে থাকেন। আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ায় হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিমের গ্রাম ভাদ্রায় বইছে আনন্দের বন্যা। নিজেদের এলাকার সন্তানের বিশ্বজয়ে শুধু ওই গ্রাম নয়, পুরো জেলার মানুষ গর্বিত।
ইউপি সদস্য বেল্লাল হোসেন বলেন, তাকরিমের এই সাফল্যে আমরা গর্বিত। আমাদের এলাকার ছেলে এতো বড় সম্মান বয়ে এনেছে। এর আগেও সৌদি আরব থেকে প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জন করেছিলো সে। তখন তাকে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিলো।
ওই গ্রামের হেকমত আলী বলেন, তাকরিম আমাদের এলাকার গর্ব। যদিও সে ঢাকায় পড়াশোনা করে। তারপরও এলাকার প্রতিটি মানুষ তার সাফল্যের জন্য গর্বিত। টাঙ্গাইলের মাওলানা আনোয়ার হোসেন বলেন, তাকরিম শুধু তার নিজ গ্রাম বা উপজেলা নয়, সে সারা টাঙ্গাইল তথা দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে।
তাকরিম গত বুধবার (০৫ এপ্রিল) দেশে ফিরে। বর্তমানে সে ঢাকায় রয়েছে। আগামী সোমবার তাকরিম তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের ভাদ্রা গ্রামে ফিরবে বলে জানিয়েছেন তার চাচাতো ভাই মো. আসাদুল্লাহ।
তিনি বলেন, তাকরিম সৌদি আরব, ইরান ও লিবিয়ায় একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। সেসব প্রতিযোগিতা থেকেও সে সম্মান বয়ে এনেছে। এবার আনল দুবাই থেকে, একেবারে প্রথম পুরষ্কার। বুধবার বিকেলে তাকরিম দেশে ফিরেছে। সঙ্গে তার বাবাও আছেন। আগামী সোম বা মঙ্গলবার তাকরিম নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের ভাদ্রা গ্রামে আসবে।
উল্লেখ্য, ২৬তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য গত ২০ মার্চ তাকরিম দুবাই যান। দ্বিতীয় রমজান থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। গত মঙ্গলবার রাতে প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে তাকরিম প্রথম স্থান অর্জন করে। দ্বিতীয় হয়েছেন ইথিওপিয়ার আব্বাস হাদি ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন সৌদি আরবের খালিদ সুলায়মান।