এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : যশোরে চেক ডিজঅনারের পৃথক দুই মামলায় ই-ভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং সিনিয়র ম্যানেজার মাসুদকে চারমাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম) আদালতের বিচারক মো. খাইরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের এপিপি মিজানুর রহমান মিন্টু রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, যশোর শহরের ষষ্ঠীতলাপাড়ার ইমান আলীর ছেলে শামসুজ্জামান ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি মোটরসাইকেল কেনার জন্য ই-ভ্যালিতে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেন। দেড়মাসের মধ্যে মোটরসাইকেলটি সরবরাহের কথা থাকলেও তা দিতে ব্যর্থ হয় ই-ভ্যালি। তারা মোটরসাইকেল দিতে ব্যর্থ হয়ে একই বছরের ২৬ জুলাই সিটি ব্যাংকের অনুকূলে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার একটি চেক দেন শামসুজ্জামানকে। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি চেকটি নগদায়নের জন্য ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা নেই বলে ডিজঅনার করে দেয়।
২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ই-ভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে ওই বছরের ২৯ মার্চ আদালতে মামলা করা হয়।
আরও জানা যায়, শামসুজ্জামান ই-ভ্যালি থেকে ২০২১ সালের ৫ মার্চ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের আরও একটি মোটরসাইকেলের অর্ডার করেছিলেন। সেটিও দিতে ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটি। ওই টাকার বিপরীতে ওই বছরের ৩ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটির সিইও মো. রাসেল ও সিনিয়র ম্যানেজার মাসুদ সই করা একটি চেক দেওয়া হয় তাকে। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে তাদের হিসাবে পর্যপ্ত টাকা না থাকায় ডিজঅনার হয়।
২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ই-ভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও সিনিয়র ম্যানেজার মাসুদকে লিগ্যাল নোটিশ দেন শামসুজ্জামান। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় ওই বছর ৭ এপ্রিল ই-ভ্যালির চেয়ারম্যান সিইও এবং সিনিয়র ম্যানেজারের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের মামলা করেন তিনি।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক প্রত্যেককে চারমাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দুই চেকের ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত তিনজনই পলাতক।