এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা। যথাযোগ্য মর্যাদায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব উদযাপিত হচ্ছে। বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ এই দিনে জন্ম নেন। ‘জগতের সব প্রাণী সুখী হোক’—এই অহিংস বাণীর প্রচারক গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব, বোধিপ্রাপ্তি আর মহাপরিনির্বাণ, এই স্মৃতিবিজড়িত দিনটিকে বুদ্ধ পূর্ণিমা হিসেবে পালন করবেন বুদ্ধ-ভক্তরা।
এই দিনে সরকারি ছুটি। দিনটি উৎযাপনে বৌদ্ধরা বুদ্ধপূজাসহ পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেত প্রার্থনা করেন। বৌদ্ধ বিহারগুলোতে ধর্মীয় সভার আয়োজন করা হয়। বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপনে বাংলাদেশে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, অষ্ট পরিষ্কার দান, পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ, দিবসের তাৎপর্য বিষয়ক ধর্মীয় আলোচনা, সমবেত প্রার্থনা ও প্রদীপ পূজা হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। গৌতম বুদ্ধ রাজপুত্র হলেও সমস্ত বিলাসিতা ত্যাগ করেন। সংসারের মায়া তাকে আবদ্ধ করতে পারেনি। তার কাছে জাতি, শ্রেণি ও গোত্রের কোনও ভেদাভেদ ছিল না। তিনি মানুষকে মানুষ এবং প্রাণীকে প্রাণিরূপেই মূল্যায়ন করতেন।
‘সবেব সত্তা ভবন্তু সুখীতত্তা, জগতের সব প্রাণী সুখী হোক’ ছিল তার মর্মচেতনা। এই চেতনা জাগ্রত করতে সত্যের সন্ধানে পরিভ্রমণ করতে করতে একসময় তিনি গয়ার উরুবেলায় (বুদ্ধগয়া) গিয়ে নিবিষ্টচিত্তে সাধনামগ্ন হন। দীর্ঘ ছয় বছর অবিরাম সাধনায় তিনি লাভ করেন সম্যক সম্বুদ্ধ বা বুদ্ধত্ব।
সেদিনও ছিল বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথি। দীর্ঘ ৪৫ বছর তিনি প্রাচীন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল পরিভ্রমণ করে তার এই ধর্মতত্ত্ব প্রচার করেন। ৮০ বছর বয়সে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন গৌতম বুদ্ধ, আর সিটিও ছিলে বৈশাখ মাসের পূর্ণিমার দিনে।