এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : যারা আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করবে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচারের দোসর ও সাঙ্গপাঙ্গরা অনেক কিছু করতে চাচ্ছে। তারা লিফলেট বিতরণ করতে চাচ্ছে। যারা লিফলেট বিতরণ করবে তাদের জন্য কড়া বার্তা হলো- তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, ‘লিফলেটে যে সব কথা আছে, তা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে হুমকিতে ফেলার মত। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা অনলাইনে মিথ্যা ও গুজব ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচারকে এখনো প্রধানমন্ত্রী বলছেন। পুরোটা আমরা মনিটরিং করছি। আমাদের কড়া বার্তা হচ্ছে, যারা লিফলেট বিতরণ করবে, এ ধরনের কর্মসূচিতে যাবে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। আইনের আওতায় আনা হবে।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগের পক্ষে শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা (মুকিব খান) লিফলেট বিতরণ করেছেন। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের উত্তরে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু গ্রেপ্তার করেছি। আমরা শুনেছিলাম তারা ঢাকায় ৭০টি জায়গায় লিফলেট বিতরণ করবে। কিন্তু আমরা জেনেছি তিনটা জায়গায় তারা চেষ্টা করেছিল, সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা অনলাইনে অনেক কিছু বিতরণ করছে। চুরির টাকাতো তাদের ব্যয় করতে হবে।’
শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তার বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, উনার ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রত্যেকটা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গুজব প্রতিরোধে সরকার সাইবার সেল করবে কি-না- এমন প্রশ্নের উত্তরে শফিকুল আলম বলেন, গুজব ছড়ানো বন্ধে করণীয় নিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। গুজব নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো আমাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা যুদ্ধে নেমেছে। প্রতিদিন তারা মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। আমাদের ধারণা হচ্ছে, পতিত স্বৈরাচারের যারা বিলিয়ন ডলার বাইরে নিয়ে গেছে, তারা এ কাজগুলো করাচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। গুজব ছড়ানোর বিষয়টি ভারত সরকারকেও জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রেস সচিব।
বইমেলায় রাখা শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ডাস্টবিনের ছবি পোস্ট করার পর আওয়ামী লীগের ট্রল বাহিনী আমার পরিবারকে টার্গেট করেছে বলে মন্তব্য করেন শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ছবিটি পোস্ট করার পর আওয়ামী লীগের ট্রল বাহিনী খুবই ন্যাক্কারজনকভাবে আমার পরিবারকে টার্গেট করেছে। আমরা জানি তাদের চরিত্র কেমন। অপ্রত্যাশিত হলেও সত্য তাদের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বৈঠকও করছেন। বাংলাদেশের কসাইয়ের (শেখ হাসিনা) রুচিটা কোথায়, দেখেন। শেখ হাসিনা এই টিমের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
এই টিম কারও মেয়ের ছবির উপরের গলাটা কেটে পর্নোগ্রাফি ছবি দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। কি ভয়ংকর। তাদের রুচিটা কোথায় গেছে।
মিডিয়া ব্রিফিংয়ে উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন।