নিউজ ডেস্ক : কোচিংবাজ শিক্ষকরা সাবধান! সব পয়েন্টে কিন্তু কঠোর নজরদারি চলছে। প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়াতে কোচিংবাজ শিক্ষকদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই।
১ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষার আগে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফেসবুক এতো ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়েছে যে, সেখানে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য নানাজনে এ ধরনের কথা বলে থাকেন। কেউ এসব নিজের ব্যবসার জন্য করে, কেউ করে সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণার জন্য। কেউ আবার মজা করার জন্যও করে।
‘যে কারণেই করুক, এটা অন্যায়,’ বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী। ভবিষ্যতে এদের চিহ্নিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু নামধারী শিক্ষক হয়তো ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থ আছে, সুবিধা আছে। হয়তো তারা প্রাইভেট পড়ান, কিংবা কোচিং ক্লাসে জড়িত আছেন। ছেলেমেয়েদের প্রশ্নের কথা বলে দেন। এসব ব্যাপারে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ৮ মার্চ পর্যন্ত। ৯ মার্চ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ১৪ মার্চ। এ বছর বাংলা দ্বিতীয়পত্র এবং ইংরেজি প্রথমপত্র ও দ্বিতীয়পত্র ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হবে।
২০১৫ সালের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫৭ জন। ছাত্রীদের মধ্যে এ বৃদ্ধির সংখ্যা ৯২ হাজার ৬৬৩। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৭ সাল থেকে বহুনির্বাচনী বা এমসিকিউ পরীক্ষায় ১০ নম্বর কমিয়ে আনা হচ্ছে। গত কয়েক বছরের মতো এবারো পরীক্ষা শেষে সর্বোচ্চ ৬০দিনের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
৩০ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম