রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৪:৩৭:১৮

গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে সেই নেতাদের তোড়জোড়

গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে সেই নেতাদের তোড়জোড়

শাহ্ দিদার আলম নবেল : সিলেট বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে সবসময় থাকেন তারা। দায়িত্ব পালনকালে বড় ধরনের রাজনৈতিক ঝড়-ঝাপটা না আসায় কখনো কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়নি তাদের। বক্তৃতা-বিবৃতিতে নিজেদের অনুসারীরা সবসময় তাদের ‘ত্যাগী’ ও ‘পরীক্ষিত’ নেতা ইত্যাদি বিশেষণে আখ্যায়িত করেন।

২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি পরবর্তী সরকারবিরোধী আন্দোলনে অগ্নিপরীক্ষায় পড়েন এসব ‘ত্যাগী’ নেতা। রাজপথের সে পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন বেশিরভাগ নেতা। কেউ কেউ দু’চারজন অনুসারী নিয়ে ব্যানার টানিয়ে ফটোসেশন করে গণমাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়ে আন্দোলনের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণের চেষ্টা করেছেন।

অনেকে সরকারদলীয় নেতাদের মধ্যস্থতায় প্রশাসনের সঙ্গে আপস করে গোপনে পাড়ি জমান বিদেশে। এতদিন যেসব নেতা রাজপথের আন্দোলন- সংগ্রাম থেকে ‘পলাতক’ ছিলেন তারা আবারও সরব হয়ে উঠেছেন।  

আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে আন্দোলন- সংগ্রামে অনুপস্থিত থাকা নেতারা গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কাউন্সিল ছাড়াই কমিটি গঠনে তারা এতদিন তৎপরতা চালিয়ে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাউন্সিল পণ্ডের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যাওয়ায় তারা এখন কাউন্সিলরদের ‘ম্যানেজ’ করার চেষ্টায় নেমেছেন।

কাউন্সিলরদের প্রলুব্ধ করার পাশাপাশি তারা নিজেদের দলের জন্য নিবেদিত বলে দাবি করে ভোট চাইছেন। দলীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি পদ চান বর্তমান সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক দিলদার হোসেন সেলিম ও যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল কাহের চৌধুরী শামীম। এ দুই নেতার বিরুদ্ধে একটি করে মামলা রয়েছে।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা রয়েছে যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামানের বিরুদ্ধে। আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি প্রায় দেড় ডজনের বেশি মামলার আসামি হয়েছেন। অপর প্রার্থী জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আলী আহমদও বিগত সময়ে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলার আসামি হয়ে কারাগারে রয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আবদুল আহাদ খান জামাল।  -বিডি প্রতিদিন
৩১ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে