এমটিনিউজ ডেস্ক : ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজ ‘সাগর নন্দিনী-২’ থেকে তেল খালাসের সময় আরেকটি জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
খালাস করা তেল যে জাহাজে নেওয়া হচ্ছিল সেই জাহাজে সোমবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে।
পৌর খেয়াঘাট এলাকায় বিস্ফোরণের পর জাহাজটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। জাহাজ থেকে ঘন কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
এর আগে, গত শনিবার (১ জুলাই) দুপুরে সাগর নন্দিনী-২ তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণে মাষ্টার ব্রিজ ও স্টাফ কেবিনসহ পিছনের ইঞ্জিন রুমের উপরিভাগ নদীতে ডুবে যায়। সুগন্ধা নদীতে এ ঘটনায় ৫ জন আহত ও ৪ জন নিখোঁজ ছিলেন।
পরে রোববার (২ জুলাই) দুপুর ২ টার দিকে জাহাজের পিছনের ইঞ্জিন রুমের ভিতর থেকে গ্রিজার আব্দুস ছালাম হৃদয় নামে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সোমবার (৩ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে প্রথমে জাহাজের সুপারভাইজার মাসুদুর রহমান বেলাল, পরে সাড়ে ১২ টার দিকে মাষ্টার রুহুল আমিন, দুপুরে ইঞ্জিন ড্রাইভার সরোয়ার হোসেন আকরাম এর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এক সপ্তাহ আগে তেলবাহী জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে এসে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর তেলের ডিপো-সংলগ্ন এলাকায় নোঙর করে। জাহাজটিতে প্রায় ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল (পেট্রল ও ডিজেল) ছিল। এটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ডিপোয় খালাস করার অপেক্ষায় ছিল। ঈদুল আজহার ছুটিতে ডিপো বন্ধ থাকায় তেল খালাস করা সম্ভব হয়নি।
সাগর নন্দিনী-২ থেকে সাত লাখ লিটার পেট্রোল পদ্মা অয়েল কোম্পানিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। মৃদুলা-৫ এবং সেভেন সিমাক-২ জাহাজের মাধ্যমে ৬ লাখ ৭৫ হাজার লিটার ডিজেল স্থানান্তর করে ইতোমধ্যেই পদ্মা ডিপোতে সরবরাহ করা হয়েছে বলে ডিপো কর্তৃপক্ষ জানায়।