সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০১:৪৮:৩৪

'ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রক্তের বন্ধন'

'ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রক্তের বন্ধন'

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ এবং ভারত বন্ধন রক্তের বাঁধনে বাঁধা। এই বন্ধন ছিন্ন হওয়ার কথা নয়। কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে উভয় দেশের জনগণ রক্ত দিয়েছেন। তাই রক্তের এই সম্পর্কের বাঁধন আমরা অটুট রাখতে চাই। শনিবার কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের একথা বলেন বাংলাদেশের নৌ ও পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, যার যার যা বিশ্বাস, তার কাছে সেটাই ধর্ম। ধর্ম রসগোল্লা নয়। ধর্ম হল একটা দর্শন, মিশন, আদর্শ। ধর্ম সর্বজনীন। সহিষ্ণুতার আরেক নাম সর্বজনীন ধর্ম। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ দুর্যোগে সবার আগে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। আমাদের পৌঁছনোর আগেই। ওদের স্যালুট করি। ১০০ পেরিয়েও কাজ করছে কম কথা নয়।

১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে নৌ ও পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে যার বোন ধর্ষণের শিকার হয়েছিল, যার পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল, তারা যুদ্ধপরাধীদের বিচার চায়। আর সেই কারণেই শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানবতাবিরোধী শক্তিকে বিচারের মুখোমুখি করেছে। কিন্তু এই বিচারের সময় আমরা লক্ষ্য করেছি যে পাকিস্তান সেই ষড়যন্ত্র আবার শুরু করেছে, তারা আস্ফালন করছে। আমি বলতে চাই ১৯৭১ সালে যেভাবে ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, ঠিক তেমনিভাবেই আমাদের ছোট্ট দেশকে (বাংলাদেশ) বাঁচাতে আবার আমরা ভারতকে পাশে পেতে চাই। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে চাই। পাকিস্তানের শর্তমতোই আমরা ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনাকে ১৯৭২ সালে তাদের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। তারা কথা দিয়েছিল যে সেই সব পাক সেনাদের সঠিক বিচার করবে কিন্তু বদলে পাক সরকার তাদেরকে নিঃশর্ত ক্ষমা করে দিয়েছে। তারা বলছে, যুদ্ধপরাধ করেনি, গণহত্যা হয়নি। আমরা ভারতের সমর্থন চাই’।

ভারত সেবাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দজির নৈতিকতা, আদর্শকে তুলে ধরে শাজাহান খান বলেন, 'তিনি শুধু সন্নাসী ছিলেন না। ব্রিটিশ শাসনের বিরোধী আন্দোলনে তার ভূমিকা অগ্রগণ্য ছিল। স্বদেশের প্রতি তার ভালবাসা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছিল।'

বাংলাদেশের নৌ পরিবহণ মন্ত্রী শাহজাহান খান ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, অরূপ বিশ্বাস, বিধানসভার মুখ্য সচেতক শোভনদেব চ্যাটার্জি, বম্বে হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের সাবেক রাজ্যপাল, বিচারপতি শ্যামল সেন, সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, পিয়ারলেসের কর্ণধার এস কে রায়, অনাবাসী শিল্পপতি প্রসূন মুখার্জি, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুহিতানন্দ মহারাজ, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান সম্পাদক বিশ্বাত্মানন্দ মহারাজ (দিলীপ মহারাজ), কলকাতায় বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রদূত জকি আহাদ, আদ্যাপীঠের ব্রহ্মচারী মুরা‍ল ভাই, শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী।
০১ ফেব্রুয়ারী,২০১৬/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে