সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০১:৫৮:০২

জাতীয় পার্টিতে রওশনপন্থিরা কোণঠাসা

জাতীয় পার্টিতে রওশনপন্থিরা কোণঠাসা

নিউজ ডেস্ক : চলতি বছর এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় পার্টির কাউন্সিল সম্মেলন। এ নিয়ে এর মধ্যেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন পার্টির রওশনপন্থি হিসেবে পরিচিত দলের হেভিওয়েট নেতাদের একাংশ। অন্যদিকে চাঙ্গা হয়ে উঠছে এরশাদপন্থি নেতা-কর্মীরা।

কাউন্সিলে এবার প্রেসিডিয়াম থেকে শুরু করে সব কমিটিতেই এরশাদপন্থিদের জয় জয়কার থাকবে বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীরা। এরশাদকে ঘিরেই তৃণমূলকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে গতকালের প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে।

এ প্রসঙ্গে পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৬ এপ্রিল এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। গত কয়েকটি কাউন্সিলের চেয়ে এবার জাঁকজমকভাবে কাউন্সিল আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত ১৭ জানুয়ারি পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ছোট ভাই জি এম কাদেরকে পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে সদস্য সচিব ঘোষণা করেন। এরপরই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে পার্টি।

গতকাল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম বৈঠকে জি এম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান ও রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়। পার্টির ৩৭ প্রেসিডিয়ামের মধ্যে রওশন এরশাদসহ ১২ জন অনুপস্থিত ছিলেন। দুই নেতাকে দায়িত্ব দেওয়ার শুরু থেকেই বিরোধিতা করে আসছেন রওশন সমর্থকরা।

জানা যায়, আগামী কাউন্সিলে দলের গঠনতন্ত্রের সংশোধন, সংযোজন-বিয়োজনসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রেসিডিয়াম সদস্যের মধ্যে যারা এরশাদের জাতীয় পার্টি ছেড়ে অন্য দল গঠন করেছে, তাদের শূন্যস্থানও পূরণ করা হবে। এ ছাড়া রওশন এরশাদকে পক্ষে রাখতে তাকে কো-চেয়ারম্যান করার কথাও ভাবা হচ্ছে। কাউন্সিলকে ঘিরে সাব কমিটিও গঠন করা হবে।

 এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সব জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে পার্টির চেয়ারম্যান কথা বলবেন। তাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনবেন। দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজ রহমান বলেন, সম্মেলনে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাও এতে আমন্ত্রিত হবেন।

কাউন্সিল সফল করতে গতকালকের প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, আমাদের বেশ কয়েকটি জেলায় কমিটি নিয়ে ঝামেলা চলছে। কেন্দ্রেও নানা সংকট রয়েছে। আশা করি, কাউন্সিলে সব সমস্যার সমাধান করা হবে। বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি সংসদে ও বাইরে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

জাপা সূত্র জানায়, সারা দেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম চাঙ্গা করতে ছোট ভাই জি এম কারদেরকে নিয়ে জেলায় জেলায় সফরে বের হবেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এপ্রিলে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের আগেই ৬৪ জেলায় সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে অধিকাংশ জেলায় কাউন্সিল করা সম্ভব হবে না। কাউন্সিলের পরে এসব জেলা পুনর্গঠন করা হবে। বিডি প্রতিদিন
০১ ফেব্রুয়ারী,২০১৬/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে