নিউজ ডেস্ক: ‘সন্দেহজনক গতিবিধি’র কারণে সোমবার ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনের এক কর্মীকে আটক করে পুলিশ। পরে অবশ্য পুলিশ ওই কর্মীকে ছেড়েও দেয়। কিন্তু এর মধ্যেই ঘটে গেছে এক নাটকীয় ঘটনা। ঘটনাটি হলো ঢাকায় যখন পুলিশের ওই কর্মী আটক হয় ঠিক এর পর পরই ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক কর্মী নিখোঁজ হয়। পরে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ছয় ঘণ্টার মাথায় তিনি গভীর রাতে তিনি বাসায় ফেরেন।
এ বিষয়ে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সোহরাব হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস শাখার কর্মী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দাপ্তরিক কাজ শেষ করে প্রতিদিন তাঁর মেয়েকে নিতে কোচিং সেন্টারে যান। কিন্তু গতকাল তিনি নির্ধারিত সময়ে কোচিং সেন্টারে না যাওয়ায় জাহাঙ্গীরের মেয়ে বাসায় ফোন করে। এরপর জাহাঙ্গীরকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু তাঁর সঙ্গে থাকা মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ইসলামাবাদের স্থানীয় সময় রাত ১২টার দিকে তিনি বাসায় ফেরেন।
এর আগে জাহাঙ্গীরের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছিল বলে বাংলাদেশের হাইকমিশনার জানান। তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরকে উদ্ধারের জন্য ইসলামাবাদের চ্যান্সেরি পুলিশের প্রধান এবং স্থানীয় কূটনৈতিক কোরের ডিনের সহায়তাও চাওয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে, ঢাকায় ‘সন্দেহজনক গতিবিধি’র কারণে ‘জিজ্ঞাসাবাদ’-এর জন্য আটক হওয়া পাকিস্তান হাইকমিশনের কর্মীও হাইকমিশনের প্রেস শাখায় কাজ করেন।
পাকিস্তান হাইকমিশন বলছে, তাদের প্রেস শাখার কর্মী আবরার আহমেদ খানকে গতকাল বেলা ১১টার দিকে গুলশানে তাঁর বাসার কাছ থেকে আটক করা হয়। এর সাত ঘণ্টা পর হাইকমিশনের জিম্মায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল আবরার আহমেদ খানকে গুলশান এলাকা থেকে আটক করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গুলশান থানায় নেওয়া হয়। তাঁর কাছে সাড়ে তিন হাজার ভারতীয় রুপি পাওয়া গেছে। পরে পাকিস্তান হাইকমিশনের কর্মী হিসেবে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ায় তাঁকে হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
২ ফেব্রুয়ারি ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/জেএম/আরএম