এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, শেখ হাসিনার চিন্তা-চেতনা এ দেশের মানুষের সেবা করার জন্য। কোনো উন্নত দেশেও এই ধরনের জনহিতৈষীমূলক কার্যকলাপ থাকে না। আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব নাগরিককে সম্পৃক্ত করেছেন। এখন শেখ হাসিনার স্বপ্ন আপনাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করা।
যেন আপনাদের ছেলে-মেয়েরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও প্রযুক্তি মোকাবেলা দক্ষতার সঙ্গে করতে পারে, সে লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। এ জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে।
আজ বুধবার ভাসানটেক বাগানবাড়ী রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের আওতাধীন ভাসানটেক থানার জনগণ উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারছে না।
ধাপে ধাপে এই এলাকার সব রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পানির সমস্যাসহ ভাসানটেক এলাকায় বসবাসকারী সব জনগণের নাগরিক সুবিধাসমূহ নিশ্চিত করা হবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের ফলে ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দরে মাত্র ১০ মিনিটেই পৌঁছানো যাচ্ছে। মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারছে। সুতরাং মানুষের কর্ম যদি কথা বলে তাহলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। তিনি ঢাকা শহর থেকে শুরু করে সারা বাংলাদেশে যে অভূতপূর্ণ উন্নয়ন সাধন করেছেন তার ফল এ দেশের জনগণ দেবে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আমলে লুটপাট, হত্যা, রাহাজানি ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এগুলো ঠেকাতে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে তাদের অপারেশন ক্লিনহার্ট করতে হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার আমলে চুরি, লুটপাট, রাহাজানি নাই, যার কারণে অপারেশন ক্লিনহার্টের প্রয়োজন হয় না। মানুষের যদি সদিচ্ছা থাকে, দেশের প্রতি ভালোবাসা ও মমত্ববোধ থাকে, দেশের মানুষের প্রতি যদি দায়বদ্ধতা থাকে, তাহলে সব অসাধ্য সাধন করা সম্ভব।
সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের জন্য ১/১১'র কুশীলবরা সোচ্চার উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা সুদখোর, যারা ট্যাক্স ফাঁকি দেয়, যারা গরিবের টাকা আত্মসাৎ করে এবং তাদের বিচার করতে গেলে বিদেশি প্রভুরা চিঠি দেয়। দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ন্যক্কারজনক হস্তক্ষেপ করা- এটা কোন সভ্যতা? যারা সভ্যতার ছবক দেয় তারা আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কিভাবে ন্যক্কারজনকভাবে হস্তক্ষেপ করে। আমাদের বিচারব্যবস্থা স্বাধীন, বিচারালয়ের যে রায়, সেই রায়ের বিরুদ্ধে তারা কিভাবে হস্তক্ষেপ করে? সুতরাং আমি ওই সব সভ্য সমাজের প্রবর্তক এবং বিবেকবান মানুষদের বলব, শিষ্টাচার রক্ষা করেন। সব ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করবেন না।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ৯৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন খান, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শাহিদা আক্তার শিলা, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহির উদ্দিন, ভাসানটেক থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান নিলয় ও সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুকসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতারা।