এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো হঠাৎ করে প্রতি ডলারের দাম ১২-১৩ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। তাতে অনেক ব্যাংক প্রবাসী আয় কেনা বন্ধ করে দিয়েছে।
সংকটের মধ্যে একলাফে ডলারের দাম ১২-১৩ টাকা বেড়ে গেছে। ডলারের এই মূল্যবৃদ্ধি শুরু হয়েছে প্রবাসী আয় কেনার ক্ষেত্রে। ফলে আমদানি খরচ মেটাতেও ডলারের বাড়তি দাম গুনতে হচ্ছে।
বিদেশের রেমিট্যান্স হাউস ও অর্থ স্থানান্তরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি ডলারের জন্য এখন ১২২-১২৩ টাকা পর্যন্ত হাঁকছে। আর দেশের ব্যাংকগুলো তা প্রতিযোগিতা করে কিনছেও। ফলে চলতি মাসের প্রথম চার কার্যদিবসে প্রবাসী আয়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
ব্যাংকগুলোর ঘোষণা অনুযায়ী, আমদানি দায় পরিশোধে ডলারের দাম এখনো ১১১ টাকা। আর প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কেনার ক্ষেত্রে ডলারের ঘোষিত দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। ফলে ব্যাংকগুলোকে এখন ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে ডলার কিনতে ও বিক্রি করতে হচ্ছে। বেশির ভাগ ব্যাংক ডলার কেনা ও বিক্রিতে নথিপত্রে এক দাম ও বাকিটা অন্যভাবে দেখাচ্ছে। এতে ডলারের বাজারে নতুন করে সংকট দেখা দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শ নিয়ে চলতি সপ্তাহে সভায় বসবে ব্যাংকারদের দুই সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)। সেই সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে ডলারের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে সংগঠন দুটির সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যাংকারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।