শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৩, ১২:৩২:৪১

‘আমার একটাই ছেলে ছিল, তোমরা তাঁকে এনে দাও’

‘আমার একটাই ছেলে ছিল, তোমরা তাঁকে এনে দাও’

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রাজধানীর ডেমরার পাইটি এলাকায় আসিয়ান বাস ও লেগুনার সংঘর্ষে নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

নিহতরা হলেন—আসিফ হুসাইন সুমন (২৮), শামসুন্নাহার (৫২) ও কিশোরী উম্মে হাবিবা (১১)। আহতরা হলেন—শামীম (৩৮), মাইনুল (৩৫) এবং আবুল হোসেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আসিফের মা ফেরদৌসী বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘তোমরা আমার ছেলেকে এনে দাও, আমার একটাই ছেলে ছিল। আমার ছেলে মরে নাই। এখন আমি কি নিয়ে বাঁচব। ও (আসিফ) সকালেও আমার সাথে কথা বলে বেরিয়ে গেল। আল্লাহ তুমি এমনটা কেন করলা।’

ফেরদৌসি বেগম জানান, আসিফ আইএফআইসি ব্যাংকের সারুলিয়া শাখায় ক্যাশ ট্রানজিট অফিসার পদে চাকরি করতেন। তাঁর স্ত্রী রিমা এনআরবি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখায় চাকরি করেন। তাঁর বাবার নাম আনোয়ার হোসেন। রাজশাহীতে তাঁদের গ্রামের বাড়ি। বর্তমানে ডেমরার তালতলা এলাকার বদিউজ্জামান হাউসে ভাড়া থাকেন তাঁরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সুব্রত পোদ্দার বলেন, ‘সকালে আসিয়ান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস লেগুনাকে ধাক্কা দিলে তিনজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়। 

প্রথমে একজনের পরিচয় পাওয়া যায়। পরে সিআইডির ক্রাইম সিন এসে কিশোরী ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করে। এ ছাড়া আহত জরুরি বিভাগের অন স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে ক্রাইম সিন। আহত ওই ব্যক্তির নাম আবুল হোসেন।

সুব্রত পোদ্দার বলেন, ‘আসিফ হোসেন বর্তমানে ডেমরার তালতলা এলাকায় থাকতেন। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করতেন। তার বাড়ি রাজশাহী। 

নিহত শামসুন্নাহারের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের কুতুবপুর এলাকায় এবং কিশোরী উম্মে হাবিবার বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর থানার সন্ন্যাসীর চর গ্রামে। এ ঘটনায় বাসটি জব্দ করা গেলেও পালিয়ে গেছে চালক।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে