এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : সরকারের প্রতিশ্রুত ৭ দিনের মধ্যে সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র কলেজ করতে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি— এমন অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করতে এবার ‘আমন্ত্রণপত্র’ নিয়ে পদযাত্রা করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যাচ্ছেন ১১ জন শিক্ষার্থী।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তারা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে পদযাত্রা শুরু করেন।
তিতুমীর ঐক্যের দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্র তাদের নির্ধারিত এই ৭ দিনে কথা দিয়েও পূর্বের ন্যায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। কাজেই শিক্ষার্থীরা আরও ৭ দিন সময় দিতে প্রস্তুত। আগামী ৭ দিনের মধ্যেই রাষ্ট্রের দেওয়া প্রতিটি কথা পালনের জন্য সময় এবং সহযোগিতা করতে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত শিক্ষার্থীরাও।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা ‘স্বতন্ত্র তিতুমীর কলেজ’ বাস্তবায়নের জন্য দৃশ্যমান পদক্ষেপ আগামী ৭ দিনের মধ্যে দেখতে চায়। অন্যথায় ৭ দিনের কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে। আমরা মনে করি, এই সরকার ছাত্রজনতার সরকার। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করেন যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধানের বাইরে গিয়েও একজন শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষক, একজন অভিভাবক।
পদযাত্রার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করি প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া অন্যায়ের কথা শুনবেন এবং রাষ্ট্র থেকে তাদের দেওয়া প্রতিটি কথা পালনের নির্দেশনা দেবেন। সেজন্য এর আগে যারা অনশন করেছেন তারা আমন্ত্রণপত্র নিয়ে পায়ে হেঁটে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে গিয়েছে।
তারা রাষ্ট্রের অবহেলিত, সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসার আমন্ত্রণ পৌঁছে দিয়ে আসবে বলেও জানান তিনি।
সবশেষ গত ২৯ জানুয়ারি একই দাবিতে ৫ জন ছাত্র আমরণ অনশনে বসেন। সেসময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেশকিছু দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। সেগুলো হচ্ছে —
১. ছাত্র-শিক্ষক-মন্ত্রণায়লের প্রতিনিধির সমন্বয়ে তিতুমীর কলেজের জন্য স্বতন্ত্র কাঠামো গঠন করা হবে।
২. ছাত্র-শিক্ষক-মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে স্বতন্ত্রভাবে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং সেখানে ন্যূনতম দুটি আন্তর্জাতিক বিষয় আইন এবং সাংবাদিকতা সংযোজন করা হবে।
৩। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে পাঠদানকারী অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এবং গবেষণার সঙ্গে যুক্ত এমন শিক্ষক নিয়োগ করা। একই সঙ্গে অস্থায়ীভাবে সংকট নিরসনের জন্য আরও ১৫১ জন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
৪. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার ও শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসিককরণের জন্য টিএন্ডটির মাঠ, রাজউকের জমিসহ অন্যান্য সরকারি জমি তিতুমীর কলেজের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে।
৫. যাতায়াত ব্যবস্থার সংকট কাটাতে ন্যূনতম ২০টি লাল বাস প্রদান করা হবে।
৬. শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে অতি দ্রুত আন্তর্জাতিক মানের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি স্থাপন করা হবে।