এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : নগরীতে স্কুল বাসের চলাচল থাকলেও এই প্রথম স্মার্ট স্কুল বাসের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী সোমবার (২৭ নভেম্বর) থেকে প্রযুক্তি সুবিধা সম্পন্ন বাসে ছড়ে নগরীর যেকোনো প্রান্ত থেকে স্কুলে যাবেন শিক্ষার্থীরা।
ভাড়া গুণতে হবে শুধুমাত্র ৫ টাকা। গতকাল স্মার্ট স্কুল বাসের যাত্রা শুরু উপলক্ষে সার্কিট হাউসে আয়োজিত একটি অংশীজন সভায় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, স্মার্ট জেলা উদ্ভাবন চ্যালেঞ্জ–২০২৩ এর প্রথম পুরস্কার পেয়েছে স্মার্ট স্কুল বাস। টাকার অংকে পুরস্কারের পরিমাণ ৮০ লাখ টাকা।
এ টাকা স্মার্ট স্কুল বাস পরিচালনায় খরচ করা হবে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনকৃত ১০ টি স্কুল বাস প্রযুক্তি সুবিধার আওতায় এনে স্মার্ট স্কুল বাসে রূপান্তরের কাজ চলছে। একটির কাজ শেষ হয়েছে। সেটিই আগামী সোমবার থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নগরীর রাস্তায় চলাচল করবে।
বাকি ৯টি স্মার্ট স্কুল বাস আগামী জানুয়ারি থেকে চালু করা যাবে। আপাতত শিক্ষার্থীদের খরচ করতে হবে ৫ টাকা। আগামী বছর ১০ টাকা করে শিক্ষার্থীরা ভাড়া দিবেন।
তিনি বলেন, স্মার্ট স্কুল বাসে নগরীর বিভিন্ন স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে অসহনীয় যানজট, অভিভাবকদের ভোগান্তি, অধিক যাতায়াত খরচ, জ্বালানি অপচয়, সড়ক দুর্ঘটনা, অনিরাপদ স্কুল যাত্রাসহ অভিভাবকদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হওয়ার মতো সমস্যার সমাধান হবে।
অংশীজন সভায় শিক্ষাবিদ ও লেখক আবুল মোমেন বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা যখন রাস্তায় বের হয় তখন অভিভাবকরা উৎকণ্ঠায় থাকেন। ছেলে মেয়েরা ঠিকমতো স্কুলে পৌঁছেছে কি–না, সে টেনশনে থাকতে হয়।
এমন অবস্থায় জেলা প্রশাসকের স্মার্ট স্কুল বাস উদ্যোগটির কারণে এখন সে উৎকণ্ঠা আর টেনশন থাকবে না। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকদের আসতে হবে না।
স্কুলর সামনে তাদের বসে থেকে অপেক্ষা করতে হবে না। স্মার্ট স্কুল বাস নিরাপদে শিক্ষার্থীদের স্কুলে নিয়ে আসবে, স্কুল ছুটি হলে নিরাপদে পৌঁছে দিবে।
ব্যক্তিগত গাড়ির কারণে স্কুলের সামনে প্রতিনিয়তই আমরা যানজটের মুখোমুখি হচ্ছি। সেটিও কমে আসবে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক সচিব ও চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল আলীম বলেন, স্কুলে কারো ছেলে বাসে, কারো ছেলে প্রাইভেট গাড়িতে করে যায়। এটি এক ধরনের বৈষম্য।
সর্বজনীন করতে পারলে মনের মধ্যে যে বৈষম্য রয়েছে সেটা ভেঙে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে স্মার্ট স্কুল বাস। অংশীজন সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. রাশেদ মোস্তফাও বক্তব্য রাখেন।
উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ সাদি উর রহিম যাদিদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং নগরীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।