এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের কারণে জলীয় বাষ্প ও মেঘ তৈরি হওয়ায় গত কিছুদিন ধরেই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল। ফলে এবার সারা দেশে শীত আসতে আসতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
সেই সঙ্গে এ বছর আবহাওয়ার বিশেষ ধরন এল নিনো সক্রিয় থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকছে। এসব কিছু বিবেচনায় বিয়ে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এবার শীতকালের স্থায়িত্ব বা ব্যাপ্তিকাল অন্যান্যবারের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে। শীত মৌসুমে অন্যান্য বছরের তুলনায় তাপমাত্রাও কিছুটা বেশি থাকতে পারে।
গত ২৭ নভেম্বর দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয় যা পরবর্তীতে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এসে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে রূপ নেয়।
এর প্রভাবে নভেম্বরের শেষদিকে ও চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের প্রায় পুরোটা জুড়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশি ছিল। তবে গত দুইদিন বৃষ্টি হওয়ায় আকাশের মেঘ ও বাতাসের জলীয়বাষ্প কেটে যাচ্ছে বলে জানান আবহাওয়াবিদরা। ফলে দুই-একদিনের মধ্যেই দেশে পুরোদস্তুর শীত শুরু হতে পারে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন এ বছর শীতের বিলম্বের কারণ বিশ্লেষণ করে আজ শুক্রবার বলেন, ‘সাগরে বেশ কম সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকটা লঘুচাপ ও ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ মিগজাউম নভেম্বরের শেষ দিকে উৎপত্তি হয়ে ডিসেম্বরের প্রায় প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলল। ফলে তাপমাত্রা বেশি ছিল।
তবে এর (ঘূর্ণিঝড়) প্রভাবে বৃষ্টি হয়েছে। এখন সারা দেশেই মেঘ কেটে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই তাপমাত্রা কমে আসবে। শীতও শুরু হবে।’
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামীকাল শনিবার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
ভোরের দিকে সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।