এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার কাঁচাবাজার ও আড়তে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ চুয়াডাঙ্গা অধিদপ্তর। এসময় অভিযানের খবর পেয়ে খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা একলাফে কেজিতে ৫০-৬০ টাকা দাম কমিয়ে ১১০-১২০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা যায়।
পরে অভিযান শেষ হলে আবারও পূর্বের মূল্যেই পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। এসময় পণ্যের মূল্য তালিকা না থাকা ও ক্রয় বিক্রয় ভাউচার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার অপরাধে চার প্রতিষ্ঠানকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।
এর আগে গত শুক্রবার আলমডাঙ্গার কাচা বাজারে খুচরা পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৯০-১০০ টাকা। হঠাৎ শনিবার সকাল থেকে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৬০-৭০ টাকা বেড়ে ১৬০-১৭০ টাকা করে বিক্রি হয়।
রোববার সকাল থেকে ১৬০-১৮০ টাকা বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা। তবে দুপুরে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানের খবরে প্রত্যেক খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ৫০-৬০ টাকা কেজিতে কমিয়ে বিক্রি করছেন বলে জানিয়েছেন বেশ কিছু ক্রেতারা।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আলমডাঙ্গার পেঁয়াজ, কাচামালের আড়ত ও খুচরা দোকানসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়।
অভিযানকালে পেঁয়াজের দাম বেশি মূল্যে বিক্রয়, পণ্যের মূল্যতালিকা না থাকা ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার অপরাধে মেসার্স ইউনুস স্টোরকে তিন হাজার টাকা, মেসার্স নজরুল ট্রেডার্সকে তিন হাজার টাকা, মেসার্স সোহেল ট্রেডার্সকে তিন হাজার টাকা, মেসার্স মন্টু ট্রেডার্সকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ চুয়াডাঙ্গা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ বলেন, পেঁয়াজের দাম বেশি মূল্যে বিক্রয়সহ বিভিন্ন অপরাধে চার প্রতিষ্ঠানকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।