সোমবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৪:২৭:২৩

কাউন্সিলরদের কাছ থেকে মত চায় বিএনপি

কাউন্সিলরদের কাছ থেকে মত চায় বিএনপি

নিউজ ডেস্ক : দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে সময়োপযোগী করতে কাউন্সিলরদের কাছ থেকে বিএনপি প্রস্তাব চেয়েছে বলে জানিয়েছেন যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কাউন্সিলের আগে তা সংশোধনের সুযোগ রয়েছে; কাউন্সিলররা বিদ্যমান গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রস্তাব করতে পারেন। এই প্রস্তাবের জন্য ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের স্বাক্ষরে কাউন্সিলরদের কাছে তারা চিঠি দিয়েছেন।

যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, কাউন্সিলরদের প্রস্তাব গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য গঠিত উপকমিটির কাছে যাবে। কমিটি প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে চেয়ারপারসনের কাছে সংশোধনের সুপারিশ করবে। এরপর গঠনতন্ত্র সংশোধনের যেসব ধাপ আছে, সেভাবে এগিয়ে যাবে।

২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিলে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে জাতীয় কাউন্সিলের মেয়াদ দুই বছর থেকে বাড়িয়ে তিনবছর করার পাশাপাশি তারেক রহমানের জন্য সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদ সৃষ্টি করে এর ক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়।

ওই সময় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৩ থেকে বাড়িয়ে ১৯, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৮৬ এবং নারী প্রতিনিধির সংখ্যা বৃদ্ধি করে গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আনা হয়।

বিএনপির সাংগঠনিক জেলা, উপজেলা, থানা ও পৌরসভা কমিটিসহ মোট কাউন্সিলরের সংখ্যা তিন হাজারের বেশি হবে বলে দলের দপ্তর জানায়।

নয়া পল্টনে দলের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, জাতীয় কাউন্সিলের জন্য যেসব উপ-কমিটি গঠন হবে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। দু-একদিনের মধ্যে তারা ওইসব কমিটির নামগুলো গণমাধ্যমকে জানাতে পারবেন।

২০০৯ সালের কাউন্সিলের আগে প্রস্তুতি কমিটি, গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি, চেয়ারপারসন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, প্রচার ও প্রকাশনা কমিটি, নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ ১১টি কমিটি করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী 'হুমকি-কন্যা' : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের প্রতিবাদ কোনোভাবে সহ্য করতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিয়ত হুমকিতে জাতি আজ আক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রী এখন 'হুমকি-কন্যা' হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হুমকির মুখে দেশের মানুষের অধিকার আজ নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। ভোট, নির্বাচন, কথা বলা, সমালোচনা ও প্রতিবাদ, লেখা, প্রকাশ করা, চলাফেরা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ মানুষের সব স্বাধীনতা দ্বিতীয় মেয়াদের শেখ হাসিনার বাকশালে বন্দি হয়েছে। মানুষের অধিকার শব্দটিকে শেখ হাসিনা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারেন না। মূলত, তিনি জনমতকেই রাষ্ট্রীয় শক্তির জোরে হুমকি দিয়ে আটকে রেখেছেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার জনরোষে উৎখাত হবে। তাই আগাম প্রতিক্রিয়ায় গুম, খুন, নিখোঁজ করা ও বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ভয়াবহ সামাজিক নৈরাজ্য, গণতন্ত্রের বিনাশ হচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ফাঁসে আটকে যাওয়ার ভয়ে তাই সরকার রাষ্ট্রক্ষমতা বেআইনিভাবে ধরে রেখেছে।

বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এ নেতা অভিযোগ করেন, সরকারি প্রশাসনিক সংস্থা ও সাংবিধানিক সংস্থাগুলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের 'সুইচ' দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশন লজ্জা ঢাকার শেষ সূতাটুকুও বিসর্জন দিয়ে সরকারের ইচ্ছাপূরণে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। একটি স্বাধীন সাংবিধানিক নির্বাচন কমিশনের মর্যাদার প্রাচীর ভেঙে দিয়েছে বর্তমান কমিশন। তাই কমিশন বেহায়ার মতো আচরণ করছেন। তাদের নূ্যনতম লজ্জা থাকলে তারা অনেক আগেই পদত্যাগ করতেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আবদুস সালাম আজাদ ও আবদুল লতিফ জনি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।  -যায়যায়দিন
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে