এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা এলিফ্যান্ট রোডে মগবুল’স টেইলার্সে প্রতিষ্ঠানটির মালিক খন্দকার মোহাম্মদ মকবুল হুদার কাছে কাপড় বানাতে আসেন মন্ত্রী, এমপিরা। ২৯ বছরের বেশি সময় ধরে চলা প্রতিষ্ঠানটির আগের মতো যৌবন না থাকলেও এখনও অন্যান্য টেইলার্স থেকে দাপটের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে এই মগবুল’স।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মগবুল’স টেইলার্সে জামা বানাতে এসে ভিড় জমায় অনেকেই। তাদের থেকে কেউ চাইলে কাপড় কিনতে পারে। সেই ব্যবস্থাও রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।
১৯৯৫ সালে আগস্ট মাসে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটির এখন এলিফ্যান্ট রোডে ৩টি শাখা রয়েছে। এখানে ৫৫০ টাকায় শার্টের মজুরি। আর প্যান্ট ৭০০ টাকা। তবে কোর্ট ৬ হাজার থেকে ৮ হাজারের মধ্যে বানানো যায়। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনেক বড় অর্ডারের কাজ তারা করে থাকেন সুনামের সাথে।
দেশের বাইরেও অনেকে কুরিয়ারের মাধ্যেমে তাদের থেকে জামা কাপড় বানিয়ে নিয়ে থাকে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি খোলা থাকে। সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে মঙ্গলবার।
ফরিদপুরের বাসিন্দা ওমর ফারুকি আজ (শুক্রবার ২ ফেব্রুয়ারি) এসেছেন মগবুল’স এ শার্ট বানাতে। তিনি বলেন, দুপুর ২ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বসে আছি।
অন্য কোথাও জামা বানালে কোথাও না কোথাও সমস্যা থাকে। কিন্তু মগবুলে জামা বানালে সব কিছু ঠিকঠাক থাকে। সে জন্য মগবুল ভাইয়ের (প্রতিষ্ঠানটির মালিক) জন্য অপেক্ষা করছি। তার কাছেই জামার মাপ দিয়ে জামা বানাই অনেক বছর ধরে।
পুরান ঢাকার বাসিন্দা মো. ইউসুফ বলেন, ২০ বছরের বেশি সময় হবে এই প্রতিষ্ঠানটির সাথে আমার সম্পর্ক। আমি জামা বানালে এই মগবুল থেকে বানাই। অন্য কোথাও আমি জামা বানাই না।
তাছাড়া আমার পরিবারের অনেকের জামাও এখান থেকেই বানানো হয়। এই মগবুলে অন্য জায়গা থেকে অনেকটা সাশ্রয় মূল্যে কাপড় কেনা ও বানানো যায়। যেটা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।
এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করেন মো. সোহেল। তিনি বলেন, এখানে জামা বানাতে আসলে সবাই প্রতিষ্ঠানিটির মালিককে খুঁজে। তাকে দিয়ে মাপ দেওয়াতে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষায় থাকেন অনেকে। বিষয়টি দেখে খুব ভালো লাগে।
আসলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক তার কাছে এক রকম কারিশমা আছে। এই কারিশমার জন্য মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে এই প্রতিষ্ঠানে জামা বানাতে আসে।
প্রতিষ্ঠানটির মালিক খন্দকার মোহাম্মদ মকবুল হুদা বলেন, একটা সময় ছিল মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাড়িয়ে থাকতো আমার কাছে জামার মাপ দেওয়ার জন্য। এখন সে যৌবন নেই। তবুও এখন অনেক মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় এই প্রতিষ্ঠানটি। এখনও অনেক মন্ত্রী এমপিরাও আমার থেকে জামার মাপ দিয়ে জামা বানাতে আসেন। সূত্র : দেশ রূপান্তর