সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪, ১১:৫৪:২৮

এবার পেঁয়াজের দাম এক লাফে যত কমলো

এবার পেঁয়াজের দাম এক লাফে যত কমলো

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ভারত থেকে আমদানি হবে পেঁয়াজ-এমন খবরেই হিলির আড়তগুলোতে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। দুই দিনের ব্যবধানে মণ প্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। 

স্থানীয় বাজারে গত দুই দিন আগেও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৭০ টাকা কেজির ওপরে, সেই পেঁয়াজ সোমবার বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।

পেঁয়াজের দাম হঠাৎ কেন কমলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে হিলি বাজারের পেঁয়াজের ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান বলেন। গত কয়দিন থেকেই শুনতে পাচ্ছি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হবে। এমন খবরেই আড়তগুলোতে পেঁয়াজের সরবরাহ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। সরবরাহ বাড়ার কারণেই সেখানে পেঁয়াজের দাম কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারগুলোতে।

আরেক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মান্না বলেন, আমরা যারা পেঁয়াজের ব্যবসা করি তারা অনেক সময় পুঁজি হারিয়ে ফেলি। কারণ ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে এর আগেও এরকম গুজব উঠার পরে পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমে গিয়েছিল তখনও আমাদের অনেক বেশি দামে পেঁয়াজ কিনে কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে।

তখনও আমাদের অনেক টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। এবারও একই অবস্থা। গত কালকেও পেঁয়াজ কিনেছিলাম ৬৮ টাকা কেজি সেই পেঁয়াজ আজকে বিক্রি করতেছি ৫০ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজিতে ১৮ টাকা নাই। তাহলে কিভাবে ব্যবসা করব।

কথা হয় বাজারে সবজি কিনতে আসা মুমিনের সঙ্গে। তিনি বলেন পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা কেজিতে কিনলাম। গত কয়দিন আগেও ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা দাম। রসুনের দামও কমেছে কেজিতে ২০ টাকা।রসুন কিনলাম ১০০ টাকা কেজিতে। বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম কখনও বাড়ে কখনও কমে এর পিছনে কারা দায়ী এটা প্রশাসনের খতিয়ে দেখার দরকার।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় বলেন, দ্রব্যমূল্য দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সারা বাংলাদেশে অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা প্রতিনিয়ত বাজারে অভিযান চালাচ্ছি প্রত্যেকটা দোকানদারকে আমরা সতর্ক করেছি পবিত্র মাহে রমজান মাসে কেউ যাতে কোন পণ্য মজুদ করে দাম বৃদ্ধি করতে না পারে। আর যদি কেউ মজুদ করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে