শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪, ১২:৫৮:২৫

চৈতীর কান্না কোনোভাবেই থামছে না

চৈতীর কান্না কোনোভাবেই থামছে না

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ভৈরবের মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনাটি ৭  দিন পার হয়েছে। দুর্ঘটনায়  মাকে হারিয়ে বেঁচে যাওয়া সুস্মিতা চৈতীর কান্না থামছে না। পুলিশের পরিবার ছাড়াও ভৈরবের আমলাপাড়া এলাকার একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে ট্রলার দুর্ঘটনায়। 

তবে সেদিনের দুর্ঘটনায় তাদের পরিবারের ৬ জন প্রাণে বেঁচে গেছে। মারা গেছে রুপা দে, তার আত্মীয় আরাধ্যাও বেলন দে। সেদিনের দুর্ঘটনার পর তাদের পরিবারের কান্না আজাহারি থামছে না।

ঘটনার দিন তাদের পরিবারের ৯ জন ভ্রমণতরীতে (ট্রলার) উঠেছিল বলে তারা জানান। অন্য একটি ট্রলারের সহযোগিতায় তার পরিবারের বেঁচে গেছেন ৬ জন। এরা হলো পিংকি দে, রিয়া দে, সুস্মিতা চৈতী, ছবি দে ও একজন বৃদ্ধা ও এক শিশু। 

দুর্ঘটনায় সেদিন বেঁচে যাওয়া নিহত রুপা দে’র একমাত্র কন্যা সন্তান সুস্মিতা চৈতী। চৈতীর বাবার নাম ঝন্টু দে। দরিদ্র পরিবার। ঘটনার দিন তাদের কয়েকজন আত্মীয় ভৈরবে বেড়াতে এসে মেঘনা পাড় ভ্রমণে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। মা রুপা দে’কে হারিয়ে সুস্মিতা চৈতী ৭ দিন ধরে শোকে কাতর। 

তার কান্না কোনোভাবেই থামছে না। চৈতী বলেন, আমরা নদী ভ্রমণে ৯ জন ট্রলারে উঠি বিকাল সাড়ে ৪টায়। আশুগঞ্জের চরসোনারামপুর চর থেকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ট্রলারটি ভৈরবে ফিরছিল। 

এ সময় হঠাৎ বিপরীতগামী একটি বাল্কহেড আমাদের ভ্রমণতরীকে ধাক্কা দিলে তরীটি উলটে যায়। তখন  আমরা পানিতে ডুবে যায়। সাঁতার জানতাম আমরা কজন। পাশের একটি ট্রলার ঘটনা দেখে আমরা ৬ জনকেসহ ৭/৮ জনকে পানি থেকে উদ্ধার করে। চৈতী বলেন  আমিতো মা হারালাম, এখন বাঁচব কেমন করে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে