শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১১:৫২:৫০

প্রচণ্ড গরমে স্কুল কী বন্ধ হবে? যা জানা গেল

প্রচণ্ড গরমে স্কুল কী বন্ধ হবে? যা জানা গেল

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রাজধানীর জুরাইনের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের সন্তান লক্ষ্মীবাজারের একটি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। ঈদের ছুটি শেষে রোববার থেকে তার বাচ্চার স্কুল খুলছে। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই গরম আরও কয়েক দিন থাকবে। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরো বাড়ার শঙ্কায় তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

তিনি বলেছিলেন, বাসায় শিশুটি ঘেমে অস্থির হয়ে যাচ্ছে। মুখমণ্ডলে ঘামাচি উঠে ভরে গেছে। সর্দিতেও আক্রান্ত। আগামী কয়েক দিন তার সন্তানকে আর স্কুলে পাঠাবেন না। পড়াশোনার ক্ষতি যদি হয়, হোক। গরমে সরকারি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। প্রতিবেশি দেশ ভারতের অনেক এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক অভিভাবক ফেসবুকে নিজের সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগে ও উৎকণ্ঠার কথা জানিয়েছেন।

দেশে সাধারণত এপ্রিল ও মে মাসে সবচেয়ে বেশি গরম পড়ে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র এবং বেশির ভাগ অঞ্চলে মাঝারি ও মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরম আরও পাঁচ থেকে ছয় দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্য বলছে, দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রাথমিক স্তরের ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৯১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। এগুলোতে মোট শিক্ষার্থী ২ কোটি ১ লাখের বেশি। এর মধ্যে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। সরকারি এসব স্কুলে পড়াশোনা করে প্রায় ১ কোটি ৩৪ লাখ শিক্ষার্থী। কিছু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রাথমিক স্তর আছে। সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। কিন্ডারগার্টেনসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যেগুলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে না।

দেশে মাধ্যমিক স্তরে পড়ানো হয় ২০ হাজার ৯৬০ বিদ্যালয়ে। এগুলোতে মোট শিক্ষার্থী ১ কোটি ১ লাখের বেশি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, স্কুল বন্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। রবিবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যথারীতি ক্লাস চলবে।

অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, কয়েক দিনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা দরকার। কারণ, শ্রেণিকক্ষে বিদ্যুৎ না থাকলে গরমে শিশুশিক্ষার্থীদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে