সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ১০:৫৪:৪১

মোহনার জিপিএ-৫ পাওয়ার খবরে বাড়িতে আবারও কান্নার রোল

মোহনার জিপিএ-৫ পাওয়ার খবরে বাড়িতে আবারও কান্নার রোল

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : মোবাশ্বিরা ইসলাম। রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের অধিনে এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। ফল প্রকাশের পর জানা গেল জিপিএ-৫ পেয়েছে মোবাশ্বিরা। কিন্তু সেই ফল দেখে যাওয়ার ভাগ্য হলো না তার।

কারণ পরীক্ষা দেয়ার পরপরই জিহ্বায় একটি অস্ত্রোপচার করার পর তার আর জ্ঞান ফেরেনি। এক মাস ২২ দিনে তার মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠেছিল পরিবার। কিন্তু সেই মোবাশ্বিরার এতো ভালো ফলাফলের খবর শুনে বাড়িতে আবার কান্নার রোল পড়ে গেছে।

মোবাশ্বিরা ইসলাম এবারের এসএসসি পরীক্ষায় সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার ডাকনাম মোহনা। সে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার  নওটিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। তার বাবা মহিরুল ইসলাম একজন স্কুলশিক্ষক।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, মোবাশ্বিরা ইসলামের জিহ্বার নিচে ছোট সিস্ট হয়েছিল। সেটাই অস্ত্রোপচার করে অপসারণ করার জন্য রাজশাহী নগরের আল আমিন নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন মা-বাবা। গত ২০ মার্চ সন্ধ্যার আগে মোবাশ্বিরার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। এরপর চেতনা ফিরে পায়। কথা বলে। এরপর একজন নার্স এসে একটি ইনজেকশন দেন। তারপরই মোবাশ্বিরা অচেতন হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পরিস্থিতির অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৫টা ১০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ২১ মার্চ বিকেলে জানাজা শেষে নওটিকা গ্রামে তাকে দাফন করা হয়।

মোবাশ্বিরার বাবা মহিরুল ইসলাম বলেন, এতো কষ্ট করে পড়াশোনা করেছিল আমার মেয়ে। তবে সে তার প্রাপ্য ফলাফল দেখে যেতে পারেনি। রাজশাহীতে অস্ত্রোপচার করতে যাওয়ার সময় রাজশাহী কলেজ দেখে মাকে বলেছিল, ‘আমি রাজশাহী কলেজেই ভর্তি হব।’ আমার নম্বর ১ হাজার ২০০–এর ওপরেই থাকবে। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জিহ্বার নিচে ছোট্ট একটি সিস্টের অস্ত্রোপচারে মোবাশ্বিরার মৃত্যু হয়।

পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ার পর তার মা বিলাপ করছিলেন আর বলছিলেন, ‘আমার মেয়ে কলেজ দেখেই গেল। নম্বরও ১ হাজার ২০০–এর বেশিই পেল। কিন্তু কলেজে ভর্তি হওয়া হলো না।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে