এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : কোটাবিরোধী আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলছে কার্ফু। শিথিল সময়ে বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা থেকে বাজারে কাঁচা পণ্য এলেও তা অপর্যাপ্ত। একইভাবে কোটাবিরোধীদের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির কারণে ভয়ে পণ্য পরিবহনও কমিয়ে দিয়েছে চালকরা।
ফলে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর সংকট কাটছে না। এ কারণে চট্টগ্রামের কাঁচাবাজারে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দর শুধু বাড়ছেই। তবে স্বস্তির খবর হলো সাগর থেকে মৎস্য আহরণ ফের শুরু হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় জেলেরা নেমেছেন মৎস্য শিকারে। কিন্তু সাগরের মাছ মিললেও অতিরিক্ত দামের কারণে এখনো নাগালের বাইরে রুপালি ইলিশ। অপরদিকে সবজির দামও বেশি। ফলে বিভিন্ন অজুহাত ও পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রামের ক্রেতারা পড়েছেন ভোগান্তিতে।
চট্টগ্রামের রেয়াজুদ্দিন বাজার, বক্সিরহাট, ফিরিঙ্গি বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। অবশ্য অলিগলি ও বিভিন্ন মহল্লায় এর তারতম্যও দেখা গেছে। বাজারে পটোল বিক্রি হয়েছে কেজি ৬০ থেকে ৭০, বরবটি ৮০ থেকে ১শ’, তিতকরলা ও কাঁকরোল ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৫০, ধুন্দল ও ঝিঙা ৬০ টাকা, ফুলকপি ১শ’, টমেটো ১৫০ টাকা এবং পেঁপে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
অপরদিকে ৫শ’ থেকে ৬শ’ গ্রাম ওজনে মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকায়। ১ কেজি ওজনের ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে দেড় হাজার টাকা। পোয়া ও লইট্ট্যা মাছ বিক্রি হয়েছে কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, রুই ৩৫০, কাতলা ৪শ’, পাঙ্গাস ২শ’ টাকা এবং তেলাপিয়া ও কই মাছ ২৫০, চিংড়ি ৬শ’ থেকে ৮শ’ এবং পাবদা মাছ বিক্রি হয়েছে ৪৫০ টাকায়।
বিক্রেতাদের দাবি পরিবহন সংকটের কারণে দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল থেকে সবজি ও মাছের সরবরাহ কমেছে। আর জেলার আশপাশের উপজেলাগুলো থেকে সবজি সরবরাহ পর্যাপ্ত হলেও দাম চড়া। সাগর থেকে অল্প পরিমাণ মাছ আসায় দাম বেশি।
তবে আগামী সপ্তাহে সাগরের মাছের দাম নাগালে আসবে। মাছের পাইকাররা জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে মাছ ধরা মাত্র শুরু হল। দিন যত গড়াবে আহরণের পরিমাণ বাড়বে।
তা ছাড়া দেশে এখন সামুদ্রিকসহ বিভিন্ন ধরনের মাছের মৌসুম। দাম সহনীয় পর্যায়ে আসতে কিছুটা সময় নেবে। তবে বরাবরের মত ক্রেতাদের অভিযোগ বিভিন্ন অজুহাতে মাছ ও সবজি বিক্রেতারা জিম্মি করে ভোক্তাদের। কার্ফু কিংবা পণ্য পরিবহন নয় বরং অতি লোভের বলি হচ্ছে ক্রেতারা।