এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ডিম, সবজি ও মুরগির দাম কমেছে। তবে চালের বাজারে নতুন করে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। চালের বস্তাপ্রতি (৫০ কেজির বস্তা) ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দাম।
সোমবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল মার্কেট ও হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চালের দাম।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরিবের মোটা চাল (স্বর্ণা) কেজিতে ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়। অর্থ্যাৎ বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ১০০ টাকা। এছাড়া মাঝারি মানের চাল (বিআর-২৮) বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা প্রতি কেজি। গত সপ্তাহে যার দাম ছিল ৫৫ টাকা। কেজিতে ২ টাকা বেড়ে বিআর-২৯ বিক্রি হচ্ছে ৫৭ টাকা প্রতি কেজি। তবে দাম বাড়েনি সুগন্ধি চালের। প্রতি কেজি সুগন্ধি চাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
চালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বাড়তি পরিবহন ভাড়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটের চাল ব্যবসায়ী জলিল শেখ বলেন, সম্প্রতি পরিবহন খরচ অনেক বেড়েছে। ১৫ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ট্রাক নওগাঁ থেকে ঢাকায় ঢুকতে ভাড়া লাগে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। অবরোধ-আন্দোলনের কারণে এখন সেটি গুনতে হচ্ছে ২০ থেকে ২১ হাজার টাকা। অধিকাংশ পরিবহন মালিক সহিংসতার ভয়ে ট্রাক ভাড়া দিতে চাচ্ছেন না। যারা দিচ্ছেন, তারা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন। যার প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে।
তবে লাগামহীন দাম কিছুটা কমে স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সবচেয়ে বেশি কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। গত সপ্তাহে ৬০০ টাকা কেজি দরে কিনতে হলেও, বাজারে এখন মরিচ পাওয়া যাচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।
পেঁয়াজ ও আলুর দাম উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল থাকলেও দাম কমেছে ডিমের। ডজনে এক লাফে ২০ টাকা কমে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা এবং আলু প্রতিকেজি ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
এদিকে, মুরগির দামও কিছুটা কমতির দিকে। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১৮০ টাকায় ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছিল যথাক্রমে ২০০ ও ৩২০ টাকায়।