এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ইলিশের ভরা মৌসুমেও চড়া দামে বিক্রির অভিযোগে ফরিদপুর জেলা সদর বাজারে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। এ সময় ইলিশের বাজারে শিক্ষার্থী ও পুলিশ-আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের পর ইলিশের দাম প্রতি কেজিতে এক লাফে কমেছে ২০০ টাকা।
জানা যায়, সরকার বদল হলেও ফরিদপুরের বাজার ব্যবস্থাপনা সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ভাঙেনি।
এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে আহ্বান জানান স্থানীয় লোকজন। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের নির্দেশে শহরের হাজী শরীয়তুল্লাহ ইলিশের বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। এর আগে কয়েক দিন ধরে যে মাছটির দাম ১৮০০ থেকে ১৯০০ চাওয়া হয়েছিল অভিযানের পর দাম কমে সেই মাছটিই ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
ক্রেতারা ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, অভিযানের ফলে কেজিতে ২০০ টাকা বা তার কম-বেশি দাম কমেছে, তবে কেন সব সময় এমনটি হবে না।
আমাদের ব্যবসায়ীদেরও নৈতিক অবক্ষয় ঘটেছে। সব কিছুতেই অধিক মুনাফা খোঁজার অভ্যাসটা রয়েই গেছে তাদের।
অভিযান পরিচালনার সময় কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, ইলিশ মাছের বড় বড় আড়তদাররা ৪২ থেকে ৪৩ কেজিতে মণ হিসেবে কিনলেও খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন ৪০ কেজিতে মণ। তাদের দাবি দেশের কোনো মাছ বাজারে এই ব্যবস্থা নেই।
এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে আড়তদার মাছ দেওয়া বন্ধ করে দেন।
ফরিদপুর ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখ জানান, কয়েক দিন ধরে বিভিন্নভাবেই আমাদের কাছে অভিযোগ আসছিল ইলিশের সিন্ডিকেটের বিষয় নিয়ে। যে কারণে আমরা বাজার পরিস্থিতি জানার জন্য অভিযান পরিচালনা করেছি। বাজারে নানা অভিযোগ আমাদের দৃষ্টিতে আসে। প্রাথমিকভাবে আমরা ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছি।
এ ছাড়া দুই ব্যবসায়ীকে ৪০ হাজার করে মোট ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।