শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:৩৩:২৩

আমার বুকের মানিককে তোমারা অ্যাইনা দাও, কান্না থামছে না শামীমের মায়ের

আমার বুকের মানিককে তোমারা অ্যাইনা দাও, কান্না থামছে না শামীমের মায়ের

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ঢাকা সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া বাজার থেকে একটু দূরেই মোল্লাবাড়ী। দুপুর সাড়ে ১২টায় সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের ভীড়। শামীমের লাশের জন্য অপেক্ষা করছেন এলাকার শত শত মানুষ।

বাড়ির ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, টিনশেড ঘরের একটি রুমে শামীমের ষাটোর্ধ বৃদ্ধা মা কহিনুর বেগম ছেলের ছবি পাশে নিয়ে বুক চাপড়িয়ে কান্না করছেন আর বলছেন, ‘আমার বুকের মানিককে তোমারা অ্যাইনা দাও।’ অসুস্থ্য বৃদ্ধ বাবা ইয়াজুদ্দিন মোল্লা ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে বাকরুদ্ধ। শুধু কাঁদছেন তিনি।

এলাকাবাসী জানায়, এই এলাকার বেশিরভাগ ছেলেরা তেমন উচ্চশিক্ষিত হয় না। কম পড়াশুনা করেই ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু শামীমের বাবা ইয়াজুদ্দিন মোল্লা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুবাদে শামীম ও তার এক বোন সোনিয়া আক্তার জাবিতে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া শেষ করেন। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে শামীম ছিলেন তৃতীয়। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শামীম এলাকায় খুবই পরিচিত ছিলো। তাই তার মৃত্যুর খবরে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

শামীমের বড় ভাই শাহীন আলম জানান, পড়াশুনা শেষ করে আমার ভাই ৪/৫ বছর আগেই রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু জাবির পাশের ইসলাম নগরে ফ্ল্যাট বাসা নিয়ে জমিজমার ব্যবসা করতো। 

কয়েক দিন আগেই এলাকার জমি বিক্রি করে ওকে ৫০ লাখ টাকা দিয়েছি। সেই টাকা দিয়ে জমির ব্যবসা করছিল। কিন্তু ওরা আমার ভাইকে বাচঁতে দিল না। আমার ভাইয়ের নামেতো কোনো মামলা ছিল না। এরপরও সে যদি কোনো অন্যায় করে দেশেতো আইন আছে। কিন্তু এভাবে একটা মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলবে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেল ৫টায় শামীমের লাশ বাড়িতে আনা হয়। এ সময় তার আত্মীয়স্বজনসহ ঘনিষ্টজনদের কান্নায় সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। এরপর এলাকার মসজিদের নামাজের জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।-সমকাল

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে