বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ০২:০৬:৪২

৪৬ বছর ধরে পরম যত্নে শহীদ জিয়ার চিঠি আগলে রেখেছেন তিনি

৪৬ বছর ধরে পরম যত্নে শহীদ জিয়ার চিঠি আগলে রেখেছেন তিনি

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : প্রিয় নেতার ভালোবাসা আর স্মৃতিকে মানুষ বিভিন্ন ভাবে আকঁড়ে ধরে রাখে। তেমনি ভাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দিকনির্দেশনামূলক একটি চিঠি পরম যত্নে ৪৬ বছর ধরে আগলে রেখেছেন মো. গিয়াস উদ্দিন। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার বর্শিকুড়া গ্রামে।

জানা যায়, জিয়া পাগল মো. গিয়াস উদ্দিন ১৯৭৮ সালে শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘জাগদল’ থেকে শুরু করে বিএনপির একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। কেউ তার খোঁজখবর রাখুক বা না রাখুক তিনি কিন্তু নিজ উদ্যোগেই পথে প্রান্তরে, হাট বাজার ও হোটেল রেস্টুরেন্টে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সফলতা ও ফিরিস্তি তুলে ধরছেন।

জিয়া পাগল গিয়াস উদ্দিন প্রসঙ্গে সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মাসুদ আলম, শাহেদল ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ উদ্দিন ও পাশের ধনকুড়া গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবু বকর সিদ্দিক বাক্কার জানান, ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি গিয়াস উদ্দিন জিয়া পাগল। তিনি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য কিছুই বোঝেন না।

সরেজমিনে উপজেলার আদু মাস্টারের বাজারে কথা হলে মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, ১৯৭৮ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রাম প্রতিরক্ষাদলের সদস্য হিসেবে রাইফেল চালানোর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। 

এরই ধারাবাহিকতায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ১৯৭৯ সালের ১৪ জুলাই জিয়াউর রহমানের স্বাক্ষরিত একটি দিকনির্দেশনা মূলক ও অনুপ্রেরণা মূলক চিঠি পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। সেই থেকেই ওই চিঠিটি পরম যত্নে লালন করে বিগত ৪৬ বছর ধরেই জিয়ার কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি জনগণের কাছে তুলে ধরছি।

তিনি বলেন, একদিন হয়তো তার ওই পরিশ্রমের যোগ্য মূল্যায়ন তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাবেন। তবে সচেতন মহলের প্রত্যাশা, জিয়াউর রহমানের একজন ভক্ত হিসেবে স্থানীয় বিএনপির হাইকমান্ডের নেতৃবৃন্দ গিয়াস উদ্দিনের খোঁজখবর রাখবেন এবং তাকে যথাযথ মূল্যায়ন করবেন। সূত্র : আমার দেশ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে